ওয়াশিংটন ডিসিতে স্বাধীনতা দিবস

গিয়েছেন ড. মুহমমদ ইউনূস-এটা সম্ভবতঃ জানতেন না যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী (দক্ষিণ এশিয়া) রবার্ট ও ব্ল্যাক। না জানার কারণে রবার্ট ও ব্ল্যাক বার্তা সংস্থা এনার সাথে ড. ইউনূস প্রসঙ্গে কথা বলার সময় মন্তব্য করেছিলেন যে, ঐ ঘটনা নিয়ে আদালতে যাওয়া উচিত হয়নি।

বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ও ব্ল্যাকের সাথে কথা বলছেন বার্তা সংস্থা এনার বিশেষ সংবাদদাতা শিব্বির আহমেদ।

২৮ মার্চ বিকেলে (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার ভোর) ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদান করেন রবার্ট ও ব্ল্যাকসহ অর্ধ শতাধিক দেশের রাষ্ট্রদূত, হাই কমিশনারসহ উর্দ্ধতন কূটনীতিকরা। স্টেট ডিপার্টমেন্টে দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপ-সহকারী পররাষ্ট্র মন্ত্রী জেমস মোর এবং ড. আলিশা আয়ার্স এবং প্রিন্সিপাল ডেপুটি এ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী জিওপস পিয়াটসহ ইতিপূর্বে ঢাকায় দায়িত্ব পালনকারী কয়েকজন রাষ্ট্রদূতও এসেছিলেন এ অনুষ্ঠানে। সমবেত সকলের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বক্তবের পর সম্প্রতি ঢাকা সফরকারী রবার্ট ও ব্ল্যাকের সাথে একান্তে কথা বলেন বার্তা সংস্থা এনার বিশেষ প্রতিনিধি শিব্বির আহমেদ। সে সময় তার বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মিঃ রবার্ট বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের সাথে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট থাকবে। সে সময় গ্রামীণ ব্যাংকের পরিস্থিতি নিয়েও কথা হয়েছে। আশা করছি শীঘ্রই সমমানজনক সমঝোতা হবে। এ সময় এনার পক্ষ থেকে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, বিষয়টি আদালতে থাকায় সমঝোতা কীভাবে সম্ভব? এর জবাবে রবার্ট ও ব্ল্যাক বলেন, আদালতে যাওয়া ঠিক হয়নি। এনার প্রতিনিধি তাকে জানান যে, আদালতে সরকার যায়নি। সরকারী সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ড. মুহমমদ ইউনূস আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। সমমানজনক সমঝোতার স্বার্থে ঐ মামলা প্রত্যাহারের ব্যাপারে ড. ইউনসের সাথে তার কোন কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মিঃ রবার্ট কোন জবাব না দিয়ে তিনি পরে কথা বলবেন বলে উল্লেখ করে ঐ স্থান ত্যাগ করেন।

বাংলাদেশ দূতাবাস ভবনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের ফাঁকে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবার্ট ও ব্ল্যাকের সাথে কথা বলছেন বার্তা সংস্থা এনার বিশেষ সংবাদদাতা শিব্বির আহমেদ।

এর আগে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্যকালে রবার্ট ও ব্ল্যাক বাংলাদেশের জনগণের প্রতি প্রেসিডেন্ট বরাক ওবামার শুভেচ্ছা জানান এবং বলেন, বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ জোরদার সম্পর্ক অটুট থাকবে। আমরা পরসপরের সহযোগী হয়ে কাজ করছি বিভিন্ন সেক্টরে। এ সময়েও তিনি ড. ইউনূস প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, আমি অত্যন্ত আশাবাদি যে গ্রামীণ ব্যাংক ও ড. মুহমমদ ইউনূসের সাথে বাংলাদেশ সরকারের যে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে তা শীঘ্রই সুরাহা হয়ে যাবে। এ সময় অনুষ্ঠানের হোস্ট রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের প্রেক্ষাপট এবং স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সুখ ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ায় মহাজোট সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের আলোকপাত করেন।

(মঙ্গলবার ২৯ মার্চ ২০১১, ১৫ চৈত্র ১৪৭১, ২৩ রবিউস সানি আউয়াল ১৪৩২)