মাতামুহুরী নদীর গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজ বন্ধ

ওপর নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রিজের কাজ বন্ধ থাকায় হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করছেন, এই একটি সেতু ঘটাতে পারে বমু-বিলছড়ি ইউনিয়নের যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন।

জানা গেছে, গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য বিগত জোট সরকারের আমলে চকরিয়ার বমু-বিলছড়ি ইউনিয়নে মাতামুহুরী নদীর ওপর আরসিসি গার্ডার সেতুর কাজ শুরু হয়েছিল ২০০৭ সালে। সেতুর কাজ উদ্বোধন করেন তত্কালীন যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদ এমপি। নির্মাণ কাজ শুরুর পর সেতুর পয়েন্টে ৫টি আরসিসি পিলার নির্মাণ শেষ করে ঠিকাদার নির্মাণসামগ্রীর মূল্য বৃদ্ধিসহ নানা অজুহাতে কাজ বন্ধ করে দেন। সেতুর নির্মাণ কাজ মাঝপথে বন্ধ হয়ে পড়ায় কমপক্ষে ১৩ হাজার মানুষ যোগাযোগ ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। এই সেতুর কারণেই চকরিয়া মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে ইউনিয়নটি। চকরিয়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে বমু-বিলছড়ি ইউনিয়নের অবস্থান। মাতামুহুরী নদী বমু-বিলছড়ি ইউনিয়নকে দু’ভাগে ভাগ করে রেখেছে। বমু-বিলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মতলব জানান, ২০০৭ সালে বমু-বিলছড়িতে মাতামুহুরীর নদীর ওপর আরসিসি গার্ডার সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু হয়। নির্মাণসামগ্রীর দাম বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাঝপথে কাজ বন্ধ রেখেছে। ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা নুরুল হক জানান, ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলা সদরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও গড়ে না ওঠায় কৃষকদের উত্পাদিত কৃষিপণ্য পরিবহন, ছাত্রছাত্রীদের স্কুল-কলেজে যাতায়াত ও ইউনিয়নবাসীর যোগাযোগ ক্ষেত্রে নানা সঙ্কটের সৃষ্টি হচ্ছে।

গৌরনদী ডটকম/এমউআ/৩০৩২০১১.