হল্যান্ডে মহান স্বাধীনতা দিবস

৪০তম বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে, নেদারল্যান্ডসহ বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই অনুষ্ঠানে- হল্যান্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ যোগদান করেছেন। বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃপক্ষ আয়োজিত মহান স্বাধীনতার ৪০তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে, গণপ্রজাতনত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতির প্রেরিত বাণী পাঠ করেন, দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোহামমদ আলী সরকার। গণপ্রজাতনত্রী বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমনত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্র মনত্রীর প্রেরিত বাণী পাঠ করেন, দূতাবাস কনসিউল্যার জনাব রকিবুল হক। অনুষ্ঠানে- মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের সমৃতির স্মরণে ১:০০ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। নেদারল্যান্ডসহ বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত জনাব মোহামমদ আলী সরকার, স্বাধীনতাযুদ্ধের সকল শহীদদের এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও জাতীয় চারনেতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে বক্তব্য রাখেন। উক্ত অনুষ্ঠান উপসহাপন করেন, দূতাবাস কনসিউল্যার জনাব রকিবুল হক। জাতির জনক এবং সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায়- বিশেষ মোনাজাত করেন, দূতাবাসে কর্মরত জনাব সাইফুল ইসলাম। মহান স্বাধীনতা দিবসের উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেনঃ হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা জনাব মাঈদ ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মোসতফা জামান,  যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মুরাদ খান, প্রচার সম্পাদক মুহিন উদ্দিন, নেদারল্যান্ডসহ প্রবাসী বাঙ্গালী ও মুত্তিযোদ্ধা এম. মুমিন বাবুল, শিক্ষারত ছাত্র আব্দুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে আরও উপসিহত ছিলেনঃ হল্যান্ড আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি জনাব এমদাদ হোসেন, সহ-সভাপতি আবরার হোসেন শামীম, সহ-সভাপতি টুকু খান, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ইকবাল বাবুল, প্রবাসী বাঙ্গালী মোহামমদ রেজা, মোঃ মাসুদ ও কামাল হোসেনসহ আরও অনেক প্রবাসী বাংলাদেশী বাঙ্গালী।

হল্যান্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ‘এক সাগর রক্তের বিনিময়ে’ অর্জিত বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৪০তম বর্ষপূর্তিতে- আনন্দ, বেদনা, শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেছেন, ত্রিশ লক্ষ শহীদদের য]াদের আত্মত্যাগের ফলে জাতি স্বাধীনতা লাভ করেছে, শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন দু’লক্ষ মা-বোনদের যাঁদের অমূল্য সমভ্রমের বিনিময়ে বাঙ্গালী জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত হয়েছে। শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেছেন, জীবিত আহত পঙ্গু অসহায় হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধাদের যাঁরা জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করে জাতিকে মুক্ত জীবনের স্বাদ দিয়েছে। হল্যান্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতাচিত্তে স্মরণ করেন, বাঙ্গালী জাতির চির আরাধ্য প্রিয় নেতা অকুতোভয় বীর সনতান, হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙ্গালী, বাংলাদেশের সহপতি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যিনি পাকিসতানী সৈন্যদের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্ব মুহুর্তে আজকের এই দিনে অর্থাৎ ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন, জাতীয় চারনেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেমদ, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে। তারা বলেন, জাতীয় এই চারনেতাই বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, স্বাধীনতা কুড়িয়ে পাওয়া একমুঠো মুক্তা বা বদন্যতার উপহার নয়। এর জন্য জাতিকে দীর্ঘ তেইশটি বছর সংগ্রাম করতে হয়েছে। বাংলার অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর আপোসহীন অবিরাম সংগ্রাম ও তাঁর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের বজ্রকণ্ঠে মুক্তির অমোঘবাণী বাংলার সর্বসতরের মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পড়ায়-সংগঠিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে লক্ষ লক্ষ মুক্তি পাগল মানুষের সেই বিশাল সমাবেশে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণে ছিল, এই উপমহাদেশের ইতিহাস, ভূগোল নতুন করে লেখার ও আকাঁর নির্ভূল পুর্বাভাস। সেই অতুলনীয় ভাষণে, তেজোদৃপত ভাষায় বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সংশয়ক্লিষ্ট দুর্বলকণ্ঠের অস্পপষ্ট উচ্চারণ নয়, মুক্তি আহবের নির্ভীক নেতার বজ্রকণ্ঠে দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দিব, তবুও এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাহআল্লা।

হেগসহ বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে- হল্যান্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর জনম না হলে, বাংলাদেশ নামের দূতাবাসে বুক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলার সুযোগ আমাদের কখনও হতো না। বঙ্গবন্ধুর নামেই স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হয়। এবং দীর্ঘ ৯টি মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ শহীদদের ও দু’লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে ১৬ ডিসেমবর ১৯৭১, অর্জিত হয়, বাঙ্গালী জাতির চুড়ানত বিজয়। জনম হয় স্বাধীন সার্বভৈৗম ভূখন্ড বাংলাদেশের। বিশ্ব মানচিত্রে সহান করে নেয়-বাংলাদেশ। এবং বিশ্ব দরবারে শোভা পায়-লাল সবুজ ঘেরা পতাকা। নেতৃবৃন্দ গভীর সঙ্গে আরও বলেন, স্বাধীনতার চল্লিশ বছরেও স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তিকে রক্তভেজা মাটি থেকে এখনও নির্মূল করা যায়নি! তারা বার বার মাথা চারা দিয়ে উঠছে। আজকে মহান স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে দূতাবাসের মান্যবর রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে- বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের নিকট ‘যুদ্ধাপরাধীদে’র বিচার কার্য সম্পন্ন করার জোর দাবী জানিয়েছে, হল্যান্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। মহান স্বাধীনতার ৪০তম বর্ষপূতিতে- হল্যান্ড আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা-মূল্যবোধ সমমুন্নত রাখার এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপেনর সোনার বাংলা, রাজাকার মুক্ত ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমনত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরও শক্তিশালী এবং দেশের উন্নয়নের সকল অগ্রযাত্রায় তাঁকে সর্বাত্মক সহযোগীতা করবো, ইহাই হোক আজকে আমাদের সকলের অঙ্গীকার।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

ভিওবিডি, হল্যান্ড থেকেঃ (সোমবার ২৮ মার্চ ২০১১, ১৪ চৈত্র ১৪৭১, ২২ রবিউস সানি আউয়াল ১৪৩২)