সন্ত্রাসীদের রাজত্ব এখন আর নেই

সরিকল ইউনিয়ন। র‌্যাব গঠনের পর একে একে ওই ইউনিয়নের একাধিক সর্বহারা সন্ত্রাসীরা ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার পর অন্যান্য সর্বাহারারা আত্মগোপন করে। পূর্ণরায় নির্বাচনকে সামনে রেখে ওইসব সর্বহারা সন্ত্রাসীরা এলাকায় ফিরেছে। এরমধ্যে দু’জন সর্বহারা নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতাও করছেন। রাতের আঁধারে তারা ভোটারদের বাড়ি বাড়িতে গিয়ে তাদের মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য নানাধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। তয় আমনেগো ধারে কই সন্ত্রাসীদের রাজত্ব এখন আর নেই। ভয়ভীতি যতোই দেখাখ না কেন, ভোটের দিন কেউ ভোট কেন্দ্র দখল কিংবা জোড়পূর্বক সিল মারার চেষ্ঠা করলে জীবন দিয়ে হলেও তা প্রতিহত করবো। কতিপয় ব্যক্তির জন্য পুরো ইউনিয়নবাসী আজ আমরা কলংঙ্কিত। এ ইউনিয়নে আর কলংঙ্ক লাগতে দেয়া যাবেনা। নির্বাচনের কয়েক মাস পূর্বেও প্রশাসনের লোকজনে ওইসব কলংঙ্কিত ব্যক্তিদের ধরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলো। কিন্তু এখন যে কিভাবে প্রশাসনের তালিকাভূক্ত ওইসব কলংঙ্কিত ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশগ্রহন করলো তা আমরা বুঝে উঠতে পারছিনা” আগামি ৩ এপ্রিল বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের নির্বাচনকে ঘিরে এভাবেই নানা কথা বলেছেন ওই ইউনিয়নের সাধারন ভোটার আব্দুল মজিদ, রহমান, ইদ্রিস হোসেন, আইয়ুব আলী, আবু হানিফসহ অসংখ্য ভোটররা। তারা সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে আরো বলেন, ভাই ভোটেরদিন আমনেরা একটু ভোট কেন্দ্রে থাইকেন। যাতে কইরা পূর্বের রাইত্তা বাহিনীরা (সর্বহারা সন্ত্রাসীরা) ভোট কেন্দ্র দখল করতে না পারে। এই ইউনিয়নের অতীতের নির্বাচনে ৫জন চেয়ারম্যান ও প্রার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। এবছর যাতে আর কোন রক্তপাত না হয় সেজন্য সরিকল ইউনিয়নের ভোটাররা প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে র‌্যাব সদস্যদের স্থায়ী অবস্থানেরও দাবি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ সরিকল ইউনিয়নের নির্বাচনের তারিখ নির্ধারন করা হলেও ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া পুলিশের তালিকা ভূক্ত র্শীর্ষ সন্ত্রাসী সুভাষ হালদার ও ইমাম মৃধার মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। পরবর্তীতে হাইকোর্টে আপিল করায় তাদের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষনা করা হয়। একইসাথে ২৯ মার্চের নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন করে ৩ এপ্রিল ভোট গ্রহনের তারিখ নির্ধারন করা হয়।