ছোট ভাইয়ের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে বড় ভাই

ভাগ্যক্রমে দু’বারই কৌশলে পালিয়ে জীবনে রক্ষা পান ফারুক। পূর্ণরায় তাকে (ফারুককে) হত্যার উদ্দেশ্যে ছোট ভাই মিজান খান (২৮) ও তার লোকজনে নানাধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। তাদের অব্যাহত হুমকির মুখে অসহায় ফারুক এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়নের সিংগা গ্রামের।

ওই গ্রামের মৃত ফজর আলী খানের পুত্র ও কাঠ ব্যবসায়ী ফারুক খান গৌরনদী প্রেসক্লাবে এসে অভিযোগ করেন, তার ছোট ভাই মিজান খান দীর্ঘদিন থেকে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নানামূখী যড়ষন্ত্র করে আসছে। তিনি আরো জানান, তার (ফারুকের) স্ত্রী রাশিদা আক্তার বুলু বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ উত্তোলন এবং স্থানীয়দের কাছ থেকে ধারদেনা করে মিজান খানকে দুবাই পাঠায়। মিজান দুবাই যাওয়ার পর ঋণের টাকা পরিশোধ করতে নানা তালবাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়ে রাশিদা দু’সন্তানসহ স্বামীর বাড়ি ত্যাগ করে বাবার বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। পরবর্তীতে মিজান দেশে ফিরে ফারুক খানকে সরিকল ইউনিয়নের মহিষা গ্রামের হারুন সিকদারের কন্যা শাহনাজ পারভীন ঝুমুরকে দ্বিতীয় বিয়ে করান। ফারুক খান অভিযোগ করেন, দ্বিতীয় বিয়ের পর পরই ঝুমুরের ওপর লোলুপ দৃষ্টি পরে মিজানের। অর্থের প্রলোভনে মিজান ঝুমুরের সাথে দৈহিক মেলামেশা শুরু করে। এতে বাঁধা দেয়ায় ঝুমুর ও মিজানের সাথে ফারুকের বাকবিতন্ডা হয়। সম্প্রতি ঝুমুর ফারুকের সংসার ত্যাগ করে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে তার বাবার বাড়িতে গিয়ে ওঠে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের কাছে বিচার দিয়ে কোন সুফল পাননি ফারুক। একপর্যায়ে সে সরিকল ইউনিয়ন পরিষদে একটি মামলা দায়ের করেন। পরিষদের সচিব বিবাদী ঝুমুর গংদের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে মামলা নিয়ে নানা তালবাহানা করে অসহায় ফারুক খানকে নানাধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাড়িয়ে দেয়।

উপায়অন্তুর না পেয়ে অসহায় ফারুক খান বরিশাল প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর প্রতিটি তারিখের দিন ফারুক খানকে আদালতে যেতে বাঁধা দেয়ায় মামলাটি খারিজ হয়ে যায়। ফারুক খান পূর্ণরায় বরিশাল প্রথম শ্রেনীর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে সাতজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর থেকে মিজানের ভাড়াটিয়া লোকজনে মামলা উত্তোলনের জন্য ফারুকে নানাধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় অতিসম্প্রতি দু’বার হত্যার উদ্দেশ্যে রাতের আধাঁরে ফারুক খানকে অপহরন করে আগরপুরের স্বর্ণকার বাড়ির নিরজন বাগানে নিয়ে আটকিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর গ্রহন করে মারধর করে। ভাগ্যক্রমে দু’বারই কৌশলে ফারুক খান পালিয়ে জীবন রক্ষা করেন। বর্তমানে পূর্ণরায় অসহায় ফারুক খানকে মামলা উত্তোলনের জন্য মিজান ও তার ভাড়াটিয়া লোকজনে নানাধরনের ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। তাদের অব্যাহত হুমকির মুখে অসহায় ফারুক খান গত এক সপ্তাহ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। ছোট ভাই মিজান খান ও তার ভাড়াটিয়া লোকজনের হাত থেকে রেহাই পেতে অসহায় ফারুক খান প্রসাশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।