আজ শরিকল ইউনিয়নের ভোটগ্রহন

বলেখ্যাত গৌরনদী উপজেলার শরিকল ইউনিয়নের ভোটগ্রহন আজ রবিবার। এখানে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে মাঠে নেমেছে পুলিশ ও র‌্যাবের তালিকা ভুক্ত র্শীর্ষ সন্ত্রাসী ও সর্বহারা কারুল গ্র“পের আঞ্চলিক নেতা সুভাষ হালদার ও ইমাম মৃধা। সুভাষ র‌্যাব ও পুলিশের ভয়ে র্দীঘ আট বছর আত্মগোপনে ছিলো।

পুলিশ ও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার হয়েছিলো খুলনার কুখ্যাত সন্ত্রাসী এরশাদ শিকদারের বড় ভাই আশরাফ আলী ওরফে বড় মিয়া। এরশাদ শিকদারের অস্ত্র ভান্ডার ছিল আশরাফ অলীর হাতে। সর্বহারা নেতা সুভাষ ছিলো এরশাদ শিকদারের একান্ত সহযোগী। এরশাদ শিকদার গ্রেফতার হওয়ার পর আশরাফ আলী তার অস্ত্র ভান্ডার নিয়ে সুভাষের আধুনা গ্রামের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল। আশরাফ আলী গ্রেফতার হওয়ার পর সুভাষ আত্মগোপন করায় তার অস্ত্র ভান্ডার থাকে অক্ষত। র্দীঘদিন পলাতক থাকার পর ইউনিয়ন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রসাশনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে রাতের আঁধারে সুভাষ এলাকায় ভিড়তে শুরু করে। অপর সর্বহারা নেতা ইমাম মৃধা কয়েক বছর আগে আগ্নেয়াস্ত্রসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলো। নিন্ম আদালতে তার ১০ বছরের সস্ত্রম কারাদন্ড হয়। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে আপীলের মাধ্যমে ইমাম জামিনে বেরিয়ে আসে। ইউনিয়ন নির্বাচনে তফসিল ঘোষনার পর পরই ওই দু’সর্বহারা নেতা শরিকল ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করার জন্য মনোনয়ন পত্র জমা দেয়। স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুরুতেই স্থানীয় নির্বাচন কমিশন দু’জনেরই মনোনয়ন পত্র বাতিল করেন। এরপর ইমাম মৃধা উচ্চ আদালতের আবেদন করলে তার মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষনা করা হয়। ফলে শুরু থেকেই মাঠে কাজ করার সুযোগ পায় সর্বহারা নেতা ইমাম। গত ২৯ মার্চ শরিকল ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। ২৮ মার্চ সর্বহারা নেতা সুভাষ হাইকোর্টের রায়ে নির্বাচন করার বৈধতা লাভ করে। উচ্চ আদালতের রায়ে ভোট গ্রহনের তারিখ পরিবর্তন করে ৩ এপ্রিল নির্ধারন করা হয়। এতে পূনরায় আতংকিত হয়ে পরেন ভোটার ও প্রার্থীরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই ইউনিয়নের একাধিক চেয়ারম্যান প্রার্থী ও অসংখ্য ভোটাররা অভিযোগ করেন, দু’জন সর্বহারা নেতা মাঠে থাকায় শরিকল ইউনিয়ন নির্বাচন কোন ক্রমেই সুষ্ট ভাবে সম্পন্ন হবে না। তারা ভোট কেন্দ্র দখলের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। রাতের আঁধারে নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে গিয়ে তাদের পক্ষে ভোট দেয়ার জন্য নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী মেজবাহ উদ্দিন আকন জানান, সর্বহারা সন্ত্রাসীরা শরিকল ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন আকন, নশা মিয়া, মন্নান আকন, শুরেন্দ্র নাথ সিকদার, জহিরুল হক খোকনকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন হচ্ছে আমার পরিবারের লোক। এ ছাড়া গত দুই দশকে এ অঞ্চলের প্রায় সহস্রাধিক লোককে খুন করেছে সর্বহারা সন্ত্রাসীরা। নির্বাচনকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে সর্বহারা ও বহিরাগতদের আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা শংকিত। স্থানীয়রা জানায়, এ অঞ্চলে সর্বহারাদের কথায় সবই হয়। নির্বাচনের দিন ভোট কেন্দ্র থাকে তাদের দখলে। দির্ঘদিন যাবৎ সর্বহারাদের আশির্বাদ পুষ্টরাই এ অঞ্চলের চেয়ারম্যান ও মেম্বার নির্বাচিত হচ্ছে। গত ৩ বছরে এ অঞ্চলের ৮জন সর্বহারা সন্ত্রাসী র‌্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত হবার পর সন্ত্রাসীরা গাঁ ঢাকা দিয়েছিলো। দুইজন সর্বহারা নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়ায় সর্বহারারা পূনরায় মাঠে নেমেছে। এদের প্রতিহত করতে না পারলে কোন ক্রমেই সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয় বলে এলাকাবাসি দাবি করেন।