অভিনন্দন বিশ্বচ্যাম্পিয়ান ভারতকে

টস জিতে শ্রীলংকা ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ায় আমারকিছুটা খটকা লেগেছিল। কারণ উইকেটে বাউন্স দেখা গেছে, পেসাররা পিচ থেকেযথেষ্ট সহায়তা পাচ্ছিল। থারাঙ্গা ও দিলশান শুরুটা ভালো করতে পারেনি। জহিরখানের বলে রীতিমত খাবি খাচ্ছিল তারা। প্রতিটি রান তাদের করতে হয়েছিলসংগ্রাম করে। প্রথম ১৫ ওভার বেশ চাপে ছিল শ্রীলংকা। উইকেটও হারিয়েছে, আবাররানও বের করতে পারছিলানা। উইকেটে ধুঁকতে ধুঁকতে শেবাগের হাতে থারাঙ্গাক্যাচ দিয়ে আউট হবার মধ্যদিয়ে ভাঙেগ্ শ্রীলংকার উদ্বোধনী জুটি। এরপর ১৭তমওভারে গিয়ে যখন দিলশান আউট হল, তখন সত্যিই বড় একটা ধাক্কা খেয়েছিল লংকানরা।তবে ধাক্কা সামলে দলকে ভালোভাবেই এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন অধিনায়ক কুমারসাঙ্গাকারা এবং মাহেলা জয়াবর্ধনে। উইকেটে জমেও গিয়েছিলেন দুজন। কিন্তুসাঙ্গাকারার আউটের পর জয়াবর্ধনের উপর বেশ কিছুটা চাপ পড়ে যায়। তবে এ চাপেভেঙ্গে পড়েনি সে। দারুনভাবে ম্যাচে ফিরিয়েছে শ্রীলংকাকে। ম্যাচের পুরোচেহারাই পাল্টে দিয়েছে সে তার এই ইনিংস দিয়ে। আর ভালো খেলার পুরষ্কারস্বরূপপেয়ে গেল বিশ্বকাপের ফাইনালের মত একটা খেলায় সেঞ্চুরি। তাও আবার করল যখনদল ছিল চাপের মুখে। দারুন একটা ইনিংস দেখলাম। কয়েকজনের সাথেই ছোট ছোট কিছুজুটি গড়েছিল সে। তবে বোলার নুয়ান কুলাসেকারার সাথেই গড়ল তাদের ইনিংসেরসবচেয়ে বড় জুটিটি। মাহেলাকে দারুন সঙ্গ দিয়েছে কুলাসেকারা। একসময় মনেহয়েছিল শ্রীলংকা মনে হয় ২৩৫-৪০ এর বেশি করতে পারবেনা। কিন্তু শেষ ১৫ ওভারতারা দারুনভাবে কাজে লাগিয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত তাদের স্কোরটা ২৭৪ হতেপেরেছে। ভারতের বোলিংয়ের শুরুটা ছিল চমৎকার। তাদের দারুন বোলিংয়ের কারনেইপাওয়ার স্পেকাজে লাগাতে পারেনি শ্রীলংকার ব্যাটসম্যানরা। জহিরতো তারপ্রথম স্পেলে দুর্দান্ত বল করেছে। আর প্রথম পনের ওভারে ভারতের ফিল্ডিংও ছিলঅসাধারন। আমার মনে হয় তাদের এ বিশ্বকাপের সেরা ফিল্ডিংগুলোর একটি। তবেভারতের জন্য ২৭৫ রানের লক্ষ্য তেমন কঠিন হবার কথা ছিলনা। যদিও ওয়াংখেড়েস্টেডিয়ামের ইনিংসপ্রতি গড় রান ২৩০ এর কিছু উপরে।