নিজের ভোটটি দিতে পারেননি ॥ ছিলেন আত্মগোপনে

চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েও নিজের ভোটটি নিজে দিতে পারেননি। অথচ হাইকোর্টে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে চারদিন নির্বাচন পেছানো হয়েছিলো। এ নিয়ে গতকাল সোমবার এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সর্বহারা অধ্যুষিত প্রত্যন্ত সরিকল ইউনিয়নের।

ওই ইউনিয়নের রিটানিং অফিসার ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার মন্ডল জানান, নির্বাচন কমিশনের পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী গৌরনদীর সাতটি ইউনিয়নের নির্বাচন ছিলো গত ২৯ মার্চ। সরিকল ইউনিয়নে ১৭ জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এরমধ্যে দু’জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন। বাকি ১৫ জনের মধ্যে সুভাষ হালদারের বিরুদ্ধে পুলিশ ও র‌্যাবের তালিকাভুক্ত র্শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ইমাম মৃধার বিরুদ্ধে সাজাপ্রাপ্ত আসামি হওয়ার অভিযোগে তাদের মনোনয়নপত্র দুটি বাতিল করা হয়। এরইমধ্যে ইমাম মৃধা হাইকোর্টের জামিনের কাগজপত্র জমা দেয়ায় তার মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়। গত ২৪ মার্চ সুভাষ হালদার তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন। হাইকোর্টের বিচারকরদ্বয় আবেদনের প্রেক্ষিতে সুভাষের পক্ষে রায় প্রদান করেন। একই সাথে নির্বাচনের দিন পরিবর্তন করে ৩ এপ্রিল নির্বাচনের তারিখ নির্ধারন করে।

গত ২৮ মার্চ রাতে হাইকোর্টের রায়ের কপি হাতে পেয়ে তাৎক্ষনিক নির্বাচন স্থগিত করে সুভাষ হালদারকে বই প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। নির্বাচনের দিন (৩ এপ্রিলের) চারদিন পূর্বেই র‌্যাব, পুলিশ ও প্রসাশনের অন্যান্য সদস্যরা সরিকল ইউনিয়নে ব্যাপক তৎপর হওয়ায় নির্বাচনের আগেরদিন (২ এপ্রিল) রাতেই নিজ এলাকায় আত্মগোপনে থাকা সর্বহারা কামরুল গ্র“পের আঞ্চলিক নেতা সুভাষ হালদার নিজ এলাকা ছেড়ে অন্যত্র আত্মগোপন করেন। ফলে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হয়েও ভোটের দিন তিনি তার নিজের ভোটটিও দিতে পারেননি। তবে তিনি তার বই প্রতীকে ৯১০ ভোট পেয়েছিলেন।

বেসরকারি ফলাফলে ওই ইউনিয়নের বিজয়ী চেয়ারম্যান মনজুর হোসেন মিলন-কাপপিরিচ পেয়েছেন ৩ হাজার ১৫১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মঞ্জু-দোয়াত কলম পেয়েছেন ২ হাজার ৫৬১ ভোট।