কাউখালীতে প্রেসক্লাব সহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই

প্রেসক্লাব-সহ ছয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবী করেছেন। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, রাঙ্গামাটি জেলার কাউখালী উপজেলা সদরে হোটেলের কর্মচারীরা রবিবার রাতে চুলোর উপরে জ্বালানী কাঠের লাকড়ি শুকোতে দেয়। এখান থেকেই রাত দুইটার দিকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়লে হোটেলটিসহ একটি হার্ডওয়ারের দোকান, দুটি কুলিং কর্ণার, একটি ফলের দোকান, ও কাউখালী প্রেসক্লাব সম্পূর্ণরূপে পুড়ে যায়। এর মধ্যে হোটেল ও হার্ডওয়ারের স্বত্তাধিকারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ সরকার।

আগুন লাগার  সংবাদ বিভিন্ন মসজিদ থেকে রাতে মাইকে প্রচার করা হলে বিপুল সংখ্যক মানুষ ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা চালায়। কিন্তু হোটেলটির সামনে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার  থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। রাঙ্গামাটি ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে প্রায় দেড়ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

আগুনে কাউখালী প্রেসক্লাবের সেমিপাকা ভবন, দু’টি ল্যাপটপ, একটি ডিজিটাল ক্যামেরা, একটি ফ্যাক্য্র মেশিন, একটি ফোন টার্মিনাল ও কালার টেলিভিশনসহ বিপুল সংখ্যক আসবাবপত্র সম্পূর্ণভাবে পুড়ে যায়।

কাউখালী হোটেল ও হার্ডওয়ারের স্বত্তাধিকারী  উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এরশাদ সরকার জানান, সরকারী কর্মচারীদের ফেয়ার প্রাইস এর জন্য উত্তোলনকৃত ষোল বস্তা চাল, দু’টি সেমিপাকা ঘর, একটি আসবাবপত্র তৈরীর কারখানাসহ বিপুল সংখ্যক ফার্নিচার ও হার্ডওয়ার সামগ্রী পুড়ে গেছে।

কাউখালী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংচাপ্রু মার্মা ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই প্রু চৌধূরী গতকাল সোমবার সকালে অগ্নিকান্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু দাউদ মোঃ গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরী করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে।