বিকল অবস্থায় রয়েছে বরিশালের গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি। ফলে জনগুরুতপূর্ণ এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গত ৫ বছরে এক্স-রে মেশিনটি ১০ বার বিকল হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালটি বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের পাশ্ববর্তী হওয়ায় এ হাসপাতলে প্রতিনিয়ত গৌরনদীসহ পাশ্ববর্তী কালকিনি, উজিরপুর, বাবুগঞ্জ, আগৈলঝাড়া ও মুলাদী উপজেলার শত শত রোগীরা চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজি রেডিও গ্রাফার পরিমল চন্দ্র মৃধা জানান, সর্বশেষ গত বছরের ৩০ নভেম্বর থেকে এক্স-রে মেশিনে যান্ত্রিক ক্রুটি দেখা দেয়। সেই থেকে অদ্যবর্ধি হাসপাতালের একমাত্র এক্স রে মেশিনটি বন্ধ রয়েছে। এ ব্যাপারে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত আবেদন করেও কোন সুফল মেলেনি। তিনি আরো জানান, সেন্টাল মেডিকেল ষ্টোর থেকে তাদের জানানো হয়েছে সরকারি ভাবে রিপিয়ারিং খরচের বরাদ্দ নেই।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, এরপূর্বে এক্স-রে করা অবস্থায় ২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট প্রায় সাড়ে নয় লক্ষ টাকা মুল্যের এক্সরে মেশিনটির গোড়া (ষ্ট্যান্ড টিউব যার ওজন প্রায় পনের মন) ভেঙ্গে দুলু নাগ নামের এক রোগী গুরুতর আহত হয়েছিলেন। এছাড়াও রহস্যজনক কারনে গত ৫ বছরে হাসপাতালের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি প্রায় ১০ বার বিকল হয়। প্রতিটি বারই ৫ থেকে ৬ মাস পর রিপিয়ারিং করা হয়েছে। গত ৫ মাস ধরে হাসপাতালের একমাত্র এক্স-রে মেশিনটি বিকল থাকায় রোগীদের সীমাহীন দূভোর্গ পোহাতে হচ্ছে। বিল্লগ্রাম থেকে আগত রোগী বেবী বেগম জানান, তার কন্যা জিনাতের হাত ভেঙ্গে গেলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে বাহির থেকে এক্স-রে করার জন্য বলেছেন। কিন্তু বাহিরে এক্স-রে করানোর মতো সমর্থন তার নেই। একইভাবে হাসপাতালে আগত একাধিক রোগীরা এ অভিযোগ করেন। রহস্যজনক ভাবে এক্স-রে মেশিন বিকলের অভিযোগ অস্বীকার করে গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ বরীন্দ্রনাথ গাইন রবীন বলেন, এক্স-রে মেশিন বিকল থাকায় প্রতিনিয়ত রোগীদের দুভোর্গ পোহাতে হচ্ছে এ অভিযোগ সত্য, তবে এক্স-রে মেশিনে যান্ত্রিক ক্রুটি দেখা দেয়ার পর পরই সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।