সিটি কর্পোরেশন আর জেলা পুলিশ মুখোমুখী

উভয়ই ওই সম্পত্তি দাবি করে দখল নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। বুধবার দুপুরে পুলিশ সম্পত্তি দখলে নিতে গেলে কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়রদের বাঁধায় মুখে পরেন। এ নিয়ে নগরীতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

Barisal City Corporation and Barisal Divisional Policeজানা গেছে, বরিশাল নগর ভবনের উত্তর পার্শ্বে গৃহায়ন ও গণপূর্ত বিভাগের সম্পত্তিতে জেলা পুলিশের গারদখানা রয়েছে। সেখানকার সম্পত্তি দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে জেলা পুলিশের  সম্পত্তি হিসাবে পরিচিত। গারদখানার ভবনটি কয়েক বছর আগ থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সিটি কর্পোরেশনের দাবী ২০০৫ সালে সম্পত্তি গনপূর্ত থেকে কর্পোরেশন লিজ নেয়। তারা নিয়মিত খাজনাও পরিশোধ করে আসছে। তাদের গাড়িসহ অন্যান্য মালামালও সম্পত্তিতে রাখছে। বিপরীতদিকে জেলা পুলিশেরও দাবী অনেক আগ থেকে সম্পত্তি তাদের দখলে রয়েছে। তারাও নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছে। মঙ্গলবার থেকে সিটি কর্পোরেশন সম্পত্তিতে গাড়ির গ্যারেজ নির্মানের জন্য শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু করে। বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ সদস্যরা সম্পত্তিতে অবস্থান নিয়ে শ্রমিকদের কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়ে দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে কর্পোরেশনের কর্মকর্তা,কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়রগন ঘটনাস্থলে পৌছে পুলিশকে বাঁধা প্রদান করে। এতে উভয়ের মধ্যে ঘন্টাখানেক বাকবিতন্ডাও হয়। অতঃপর কর্পোরেশনের দায়িত্বশীলরা পুলিশকে গণপূর্ত থেকে লিজ নেয়ার কাগজ পত্র দেখায়। পরে  সমাঝোতায় বসার জন্য পুলিশ ফিরে আসে।

বিসিসির প্যানেল মেয়র আলতাফ মাহমুদ শিকদার বলেন, সম্পত্তিতে জেলা পুলিশের গারদখানার ভবন রয়েছে। তবে সেটা পরিত্যক্ত। এ কারনে গণপূর্ত থেকে সম্পত্তি লিজ নেয় কর্পোরেশন। হঠাৎ করে জেলা পুলিশ দখলে নেয়ার চেষ্টার বিষয়টি বিস্ময়কর। বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সম্পত্তি অনেক আগ থেকেই জেলা পুলিশের দখলে রয়েছে। তারা নিয়মিত খাজনা দিচ্ছে। এই সম্পত্তি জেলা পুলিশ হাতছাড়া করতে চাচ্ছে না। এজন্য তাদের দখলে রাখার চেষ্টা চলছে। ওসি আরো বলেন কর্পোরশন নাকি সম্পত্তি লিজ নিয়েছে। এখন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন বলে তিনি মন্তব্য করে।