ওএমএস’র চাল বিক্রি হচ্ছে খুচরা দোকানে

মুনাফার লোভে বস্তা ভর্তি ওএমএস’র চাল বিক্রি করছেন খুচরা দোকানীদের কাছে। ফলে এখন OMS Riceগৌরনদীর প্রত্যন্ত এলাকার মুদি দোকানেও বিক্রি হচ্ছে ওএমএস’র চাল। এতে করে নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নিন্ম আয়ের সাধারন মানুষ।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার কতিপয় ওএমএস ডিলার অধিক মুনাফার লোভে প্রতিবস্তা চাল ১৫’শ ৭৫ টাকা দামে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছেন। একেকজন খুচরা ব্যবসায়ীরা বাজারের দরের চেয়ে ওএমএস ডিলারদের কাছ থেকে প্রতিবস্তা (৫০ কেজির) চাল ২’শ ২৫ টাকা কম দামে ক্রয় করছেন। তারা তাদের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে নিয়ে ওইসব চাল অধিক মূল্যে বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, সরকার ওএমএস ডিলারদের প্রতিকেজি চাল ২৪ টাকা দরে বিক্রি করার দাম নির্ধারন করে দিয়েছেন। কিন্তু ডিলাররা প্রতিবস্তা হিসেবে প্রতিকেজি চাল খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে ৩১ টাকা ৫০ পয়সা দরে বিক্রি করছেন। এতে প্রতিবস্তায় তাদের অতিরিক্ত ৩৭৫ টাকা বেশি লাভ হচ্ছে। ডিলারদের কাছ থেকে ক্রয় করা চাল বস্তা পরিবর্তন করে খুচরা বিক্রেতারা প্রতিকেজি চাল ৩৮ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

তারা আরো বলেন, ওএমএস ডিলারদের দেয়া সরকারী এ চাল ভালো হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে চালের বেশ কদরও রয়েছে। অথচ এ চাল বাজার থেকে খুচরা ব্যবসায়ীরা পাইকারী ক্রয় করলে প্রতিকেজি ৩৬ টাকা দরে ক্রয় করতে হয়। তাই ওএমএস ডিলারদের কাছ থেকে চাল ক্রয় করলে লাভও ভালো হয়। তবে প্রতিজন খুচরা ক্রেতাদের কাছে ওএমএস ডিলার দুই বস্তার বেশি চাল বিক্রি করছেন না বলেও তারা উল্লেখ করেন। যে কারনে প্রতিটি ওএমএস ডিলারদের কাছে চালের তীব্র সংকট রয়েছে।

লোক দেখানো ভাবে ডিলাররা ৫ কেজি করে কিছু চাল নিন্ম আয়ের সাধারন মানুষের কাছে বিক্রি করেই জানিয়ে দিচ্ছেন আর চাল নেই। যে কারনে ওএমএস ডিলারদের কাছে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও চাল পাচ্ছেন না ওইসব নিন্মআয়ের সাধারন ক্রেতারা। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।