নতুন রূপে নীল দংশন

বড় হোক সব ধরণের কৃষকই এইভাবে জমির উত্তরাধিকারী হয়ে স্থানীয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ করে আসছেন। জমি কেনাবেচা হলেও মালিকানা সাধারণত স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেই সীমিত থাকে। ইদানিং এই চিরাগত প্রথার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। ঢাকা মহানগরীর আশেপাশে ও পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহে, উত্তর-পশ্চিমে পঞ্চগড়, দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁও, পাহাড়ী ভূমি, উপকূল এলাকা এমনকি উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের গভীর প্লাবিত সুনামগঞ্জ-কিশোরগঞ্জ-নেত্রকোণায়ও কৃষকদের জমি হাতছাড়া হয়ে খামার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বা সিন্ডকেটের মালিকানায় চলে যাচ্ছে। বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের নিকট থেকে স্বল্প দামে জমি কিনে অ-পারিবারিক ব্যবসাভিত্তিক খামার বা কর্পোরেট ফার্ম তৈরি করছে। এ সমস্ত খামারে কৃষি উৎপাদনে এদেশে প্রচলিত পদ্ধতির বদলে অসঙ্গতিপূর্ণ ও সংঘাতময় চাষাবাদ পদ্ধতির কারণে কৃষকেরা বেশ বিভ্রান্ত। এ যেন বৃটিশ আমলের কুখ্যাত নীল চাষের আর এক ভয়ঙ্কর রূপ। বৃটিশরা বাংলাদেশে কৃষকদেরকে নিজস্ব জমিতে খাদ্যশস্যের পরিবর্তে নীল চাষে বাধ্য করত।

সামান্য বা কোন মূল্য বা পারিশ্রমিক না দিয়ে কৃষকদের জমিতে উৎপাদিত নীল কেড়ে নিয়ে রফতানী করে মুনাফা করত। অন্যদিকে নিজর জমিতে ধানের আবাদ করতে না পেরে কৃষকেরা অভুক্ত ও আধমরা হয়ে থাকত। তবে তাদের জমি হাতছাড়া হত না। এখন তার ব্যতিক্রম ঘটছে। কর্পোরেট খামারে বিদেশী জাতের ফলমূল ও শস্য যেমন আম্রপালী আম, আপেল বা বাউ কুল, থাই পেয়ারা, এ্যকাশিয়া বৃক্ষ, হাইব্রিড ভুট্টা বা ধান, চা, এমনকি বিদেশ থেকে মুরগীর বাচ্চা ও পাঙাস, কই, মাগুর, চিংড়ি, পুটির পোনা এনে সমানে চাষ হচ্ছে যা স্থানীয় ভূমি ব্যবহার, চাষাবাদ পদ্ধতির ও পরিবেশের জন্য মোটেও উপযোগী নয়, বরং ক্ষতিকর। এইভাবে এ পর্যন্ত কী পরিমাণ জমি হাতছাড়া হয়েছে তার কোন পরিসংখ্যান নেই। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে প্রকাশিত কৃষি পরিসংখ্যান বর্ষগ্রন্থ অনুযায়ী গত তিন দশকে আমাদের দেশে এক লক্ষ হেক্টরেরও বেশি জমি কমে গেছে। এর বেশির ভাগ চলে গেছে বাড়ীঘর ও অবকাঠামো নির্মাণে এবং ও শিল্প স্থাপনে। তার উপর আবার যদি এই নব্য খামার ব্যবসায়ীরা জমি নিতে থাকে তাহলে কৃষকদের বিশেষ করে প্রায় দেড় কোটি প্রান্তিক বা ক্ষুদ্র চাষী পরিবারের অবস্থা কোথায় দাঁড়াবে? এ ব্যাপারে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে নীতি নির্ধারণের সময় এসেছে।

শত শত বছর ধরে যে আবাদ পদ্ধতি বা ফার্মিং সিস্টেম উদ্ভাবিত হয়েছে আমাদের খাদ্য উৎপাদনের জন্য তার গুরুত্ব অপরিসীম। এই পদ্ধতিতে বংশ পরম্পর কৃষকদের অনেকগুলো দায়িত্ব পালনের বাধ্যবাধকতা থাকে। তারা এমনভাবে জমির দেখাশোনা করে ও যত্ন নেয় যা গ্রামীণ জীবনের ভিত্তি বা কেন্দ্রবিন্দু ও প্রকৃতির জন্য সহায়ক; ভূমিরূপ স্থিতিশীল রাখে; নিরাপদ, স্বাস্থ্যসম্মত ও প্রাকৃতিক খাদ্য উৎপাদন উপযোগী; এবং জীবজন্তুর জন্য হিতকারী। খামার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বা সিন্ডিকেটবৃন্দ নতুন পদ্ধতিতে চাষাবাদের ফলে কৃষকদের সমস্যা বা তাদের ক্ষতির বিষয়টি কোন রকম বিবেচনা না করে কর্পোরেট ফার্মিং বা খামার উৎপাদনে উৎসাহিত ও নিয়োজিত হচ্ছে। বাংলাদেশে সুপারমার্কেটের সূচনা এবং কর্পোরেট ফার্মিং বিস্তারের প্রচেষ্টা উদ্বিগ্নের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুপারমার্কেট সারা বিশ্বে দেখা যায় এবং আমাদের অনেকেই এখন নিজ দেশে ব্যবহার করছি, কিন্তু আমরা জানিনা এদের প্রভাব কত বেশি আমাদের জীবন, সমাজ, স্বাস্থ্য এবং কৃষকদের উপরে। এই কর্পোরেট ফার্মিং বা কৃষি বা খামার ব্যবসা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়ে বীজ থেকে শুরু করে পাইকারী বিক্রয়ের মাধ্যমে, সরাসরি শস্য উৎপাদন বা বিক্রয়ে অংশগ্রহণ না করে এমনভাবে চাষাবাদ নিয়ন্ত্রণ করছে যার ফলে হাজার হাজার বছরের পুরানো চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যাহত হচ্ছে। শস্য বীজ এখন ব্যক্তি মালিকাধীন এজেন্সি বা প্রতিষ্ঠান বাজারজাত করছে যারা হাইব্রিড বীজের বানিজ্যিক উৎপাদনও শুরু করেছে। সারের বাজার ১৯৮০ দশকের শুরুতে বেসরকারীকরণের পর ডিলারদের মাধ্যমে সার সরবরাহ করা হচ্ছে। বীজের উচ্চ মূল্য এবং হঠাৎ করে সারের দাম বৃদ্ধি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে বাজার কাঠামোর কারণে।

কর্পোরেট ফার্মগুলো নামধারী বিষেশজ্ঞ নিয়োগ করেছে। সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ও টিভি চ্যানেলে এই সমস্ত বিশেষজ্ঞরা দেশের কৃষি উন্নয়নে নিয়মিত বক্তব্য দেন ও আলোচনা করেন। কর্পোরেট ফার্মের মালিকদের মধ্যে রয়েছেন এনজিও, পুরানো ব্যবসায়ী, সাবেক আমলা, রাজনীতিবিদ বা ক্ষমতাধর ব্যক্তি। ফলে সরকারের সাথে তাদের সম্পর্কও গভীরতর। এদের কার্যকলাপ দেখে মনে হচ্ছে কর্পোরেট ফার্মিং খাদ্য উৎপাদনে একটা নতুন সমস্যা তৈরি করে ক্ষুদ্র কৃষকদের ধ্বংস করে দিতে পারে। যদিওবা সমস্যা কতটা প্রকট তা এখনও পরিষ্কার নয়, তবে ভবিষ্যতে আমাদের দেশে খাদ্য উৎপাদনে মেগাকর্পোরেশনের সম্পৃক্ততার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এই সম্পৃক্ততা শুধু যে খামারে সীমাবদ্ধ থাকবে তা নয়, বীজ সরবরাহ, কীটনাশক, সার, খাদ্য প্রক্রিয়া, যন্ত্রপাতি, গুদামজাত, পরিবহন, সরবরাহ, বাজারজাত, প্রচার এবং পাইকারি বিক্রয়সহ কৃষিভিত্তিক ব্যবসার সকল ক্ষেত্রে। পূঁজিবাদি দেশসমূহের মত কর্পোরেট ফার্মিং কোম্পানীগুলো নিজস্ব তহবিলের অর্থ ব্যয় করে এবং সরকারী মহলে তদবির করে শিক্ষা, গবেষণা এবং নীতি নির্ধারণে প্রভাব সৃষ্টি করতে থাকবে। এক সময় কোম্পানীগুলো ডিএনএ কোড ব্যবহারের মাধ্যমে স্বত্বাধিকার প্রতিষ্ঠা করে ভোক্তার কাছে খাদ্য সরবরাহ ও বিক্রি করে সমগ্র খাদ্য উৎপাদন প্রক্রিয়া নিজেদের আয়ত্বাধীন করবে। যেমন আমেরিকাতে আর্চের দানিয়েলস্, মনসান্তো, মিডল্যান্ড, কার্গিল যাদের আয় হাজার হাজার কোটি টাকা। এদের কর্তৃত্ব দেখে প্রশ্ন উঠতে পারে যে বৃহৎ কোম্পানীগুলো যা করছে তা করতে দেয়া উচিত কিনা।

আমেরিকাতে ২০ বছর আগে খামার উৎপাদনে যেন কোন কোম্পানী জড়িত না হতে পারে তার জন্য বিভিন্ন স্টেটে আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। বর্তমানে নর্থ ড্যাকোটা থেকে শুরু হয়ে আইয়োয়া, কানসাস, মিন্নেসোটা, মিসোউরি, নেব্রাসকা, ওকলাহোমা, সাউথ ড্যাকোটা ও উইসকোনসিনে এই আইন প্রযোজ্য। নেব্রাসকাতে কর্পোরেট ফার্মিং বিরোধী নিষেধাজ্ঞা সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত একটি অংশ (আর্টিক্যাল ১২, সেকশন ৮)। এই আইনে বর্ণিত হয়েছে যে পারিবারিক খামার কর্পোরেশন ব্যতিরেকে অন্য কোন কর্পোরেশন আবাদি জমির স্বত্বাধীকারী হতে পারবে না, ভাড়া বা বন্ধক নিতে পারবেনা এবং এ ব্যপারে কোনরকম আগ্রহও প্রকাশ করতে পারবেনা অথবা আবাদে বা পশুচারণে নিয়োজিত হতে পারবে না। খামার কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী পরিবারের সদস্যরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের অধিকারী হবেন যাদের সম্পর্ক চতুর্থ অনুক্রম পর্যন্ত হবে (সাধারণত আপন মামা/খালা/ফুফু/চাচার ছেলে বা মেয়ে) এবং যাদের মধ্যে অন্তত একজন খামারে বসবাস করবে বা সক্রিয়ভাবে প্রতিদিন খামার উৎপাদনে শ্রম দেবে এবং খামার ব্যবস্থাপনায় নিয়োজিত থাকবে।

গবেষণায় দেখা গেছে বৃহৎ শিল্পভিত্তিক খামার উৎপাদন থেকে স্থানীয় উপার্জন কম হয়ে থাকে। অন্যদিকে ছোট ছোট খামার থেকে সাত গুণ বেশি আয় হয়। কারণ শিল্পভিত্তিক খামার ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে থাকে এবং শ্রম বাবদ কম হারে মজুরি প্রদান করে। দেশের খাদ্য উৎপাদন থেকে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বখরা নেয়ায় স্থানীয় খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমস্যা প্রকট হয়ে পড়ে যদি সরকার খাদ্য উৎপাদনকারী কৃষকদের কর্পোরেট খামার উৎপাদন থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়।

বাংলাদেশে কোনভাবেই অ-পারিবারিক খামার ব্যবসায়ী বা সিন্ডিকেটকে আবাদি জমির মালিক হয়ে বৃহতাকারের খামার উৎপাদনের সুযোগ দেয়া ঠিক হবে না। এরা কৃষকদের অধিকারে অনভিপ্রেতভাবে প্রবেশ করে জমির মালাকানায় সমস্যা সুষ্টি করছে। এদের কার্যক্রম কোম্পানিসুলভ এবং স্থানীয় উৎপাদকেরা ক্ষুদ্র বর্গাদারে পরিণত হয়ে শস্য আবাদে ঋণ পেতে সমস্যায় পতিত হচ্ছে। মনে রাখতে হরে একটি উত্তম এবং সুস্থিত গ্রামীণ সম্প্রদায় কী পরিমাণ খাদ্য বা কৃষি পণ্য উৎপাদন হচ্ছে তার উপর নির্ভর করে না, বরং কতজন কৃষক ওই এলাকায় বসবাস করে ও কর্মরত আছে তার উপর। উন্নত দেশসমূহের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা যায় যে কর্পোরেট ফার্মিং বদ্ধ বাজারের দিকে নিযে যায় যেখানে মূল্য নির্ধারণ উম্মুক্তভাবে ও প্রতিযোগিতামূলক ভিত্তিতে না হয়ে আপোসে চুক্তির মাধ্যমে হয়। এ ক্ষেত্রে যে সকল কৃষকেরা অধিক পরিমাণে উৎপাদন করে না তারা মূল্য ও অন্যান্য ব্যবসায়িক শর্তের দিক থেকে ঠকে থাকে। ফলে অ-পারিবারিক কর্পোরেট ফার্মিং নিষিদ্ধ করা হলে চিরাচরিত জমির মালিক হয়ে চাষাবাদভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থা সংরক্ষিত হবে ও জনস্বার্থ রক্ষা পাবে।

জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আবাদি জমি হ্রাসের সাথে সাথে বাংলাদেশে খামার উৎপাদন পদ্ধতি ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়ছে। অধিকন্তু, আয়ে বৈষম্য বৃদ্ধির ফলে অতি দরিদ্রের মধ্যে ক্ষুধা ও পুষ্টিহীনতা সৃষ্টি করবে, বিশেষ করে গ্রামের ভূমিহীন শ্রমজীবি, কৃষি যাদের জীবনোপায়, ক্ষুদ্র মৎস্যজীবি, উপজাতি, দূর্গম এলাকাবাসী এবং শহরের বেকারদের মধ্যে। এগুলো বিবেচনা করে সরকারের উচিত কৃষি সেক্টরে পর্যাপ্ত ঋণ সরবরাহ, উচিত মূল্যে বিক্রয়ের নিশ্চয়তা প্রদান, ব্যবসাযী ও প্রক্রিয়াজাতকারীদের উৎসাহ প্রদান, দলীয় সংগঠন তৈরির মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণ এবং কৃষি যাদের জীবনোপায় তাদের কৃষি ও অ-কৃষি কাজে ঋণ সুবিধা প্রদান। কর্পোরেট ফার্মিং উৎসাহিত করে এগুলো অর্জন সম্ভব নয়।

কর্পোরেট খামারের মাধ্যমে তারা যে প্রচুর মুনাফা করে থাকে এবং স্থানীয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ না করে পরিবেশ ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে শুধু তা-ই নয়, কৃষক পরিবারের ও গ্রামীণ সম্প্রদায়ের আর্থিক ও সামাজিক ক্ষতিও করছে। এ থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের নিয়ন্ত্রণে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নভিত্তিক ভূমি ব্যবহার-পরকল্পনা তৈরি করা একান্ত প্রয়োজন। ভূমি ব্যবহার-পরিকল্পনার উপর সিদ্ধান্ত গ্রহণে সরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যাপক ক্ষমতার অধিকারী হতে হবে। কোন পরিবর্তিত ভূমি ব্যবহার স্থানীয় অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও সম্প্রদায়ের স্বার্থের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ কিনা, বিকল্প উন্নয়নে সুযোগ আছে কি না এবং স্থানীয় সম্পদের মূল্য নির্ধারণে স্থানীয় বাসিন্দাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা দরকার।

সম্পদের মালিকানা প্রথা, বন্যা, খরা ইত্যাদি সমস্যা, জনাধিক্যের চাপ, সীমিত আবাদি জমি ইত্যাদি বিবেচনা করে বাংলাদেশে কর্পোরেট বা শিল্পভিত্তিক খামার উৎপাদনের পরিবর্তে দলীয় বা সমবায়ভিত্তিক চুক্তিবদ্ধ খামার উৎপাদন (কন্ট্রাক্ট ফার্মিং)-এর সুযোগ ও সুবিধার বিষয় পর্যালোচনা করে দেখা যেতে পারে। এর ফলে স্থানীয় বাজারে, কৃষি উপকরণে, যান্ত্রিকরণে, পরিবহনে এবং সম্প্রসারণে কৃষকের স্বার্থ রক্ষা পাবে। নিশ্চিত বাজার ও ন্যায্য মূল্য ও অধিক মুনাফা প্রাপ্তিতে কৃষকদের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তবে এর জন্য প্রয়োজন হবে কৃষি উৎপাদন, বাজারজাতকরণ ও ভূমি ব্যবহারে বিদ্যমান আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে চুক্তিবদ্ধ খামার উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন ।