ফের ওএমএসের চাল পাচারকালে গ্রেফতার

পর ভ্যানযোগে পাচারকালে গতকাল শুক্রবার ভোরে পুলিশ বস্তা ভর্তি চালসহ একজনকে গ্রেফতার করেছে। ওএমএসের চাল ভর্তি অপর একটি ভ্যান পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের ওএমএস ডিলার সুব্রত ব্যাপারির দোকানের পরিচালনাকারী উপজেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক রমনি কান্ত সরকার। তিনি (রমনি কান্ত) দীর্ঘদিন থেকে ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রি করে আসছিলেন। শুক্রবার ভোরে তার দোকান থেকে দুইটি ভ্যানযোগে ওএমএসের চাল পাচার করা হবে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ খবর পেয়ে আগৈলঝাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) এস.আই জসিম উদ্দিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ কালীখোলা নামকস্থানে ওৎত পেতে থাকে। ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ভ্যানযোগে ওএমএসের ৩ বস্তা চাল পাচারকালে পুলিশ ভ্যানচালকসহ চাল আটক করে।

আটককৃত ভ্যানচালক সুজনকাঠী গ্রামের মাজেদ মোল্লার পুত্র জামাল মোল্লা জানান, তার আগে একই গ্রামের কাদের মোল্লার পুত্র সহিদ মোল্লার ভ্যানে আট বস্তা ওএমএসের চাল পাচার করা হয়েছে। পাচারকৃত চাল রামেরবাজারে নেয়ার কথাছিলো। এ ঘটনায় থানার এএসআই মোঃ নাসির উদ্দিন বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। খবর পেয়ে আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সুব্রত ব্যাপারির ডিলারশীপ বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।

স্থানীয় একাধিকসূত্রে জানা গেছে, গত ২০দিন পূর্বে রমনি কান্ত সরকার ওএমএসের ২ বস্তা চাল পাচারকালে পশ্চিমসুজনকাঠী এলাকায় বসে জনতার হাতে ধৃত হয়। ওইসময় স্থানীয় সরকারদলীয় প্রভাবশালী কতিপয় নেতার হস্তক্ষেপে আট হাজার টাকায় বিনিময়ে বিষয়টি ধামা চাপা দেয়া হয়। সূত্র আরো জানিয়েছে, উপজেলা খাদ্য গুদামের তদারকির কাজে নিয়োজিত ওসিএলএসডি মশিউর রহমানের সাথে যোগসাজসে রমনি কান্ত সরকার ওএমএসের চাল কালোবাজারে বিক্রি করে আসছেন। উল্লেখ্য, এরপূর্বেও আগৈলঝাড়ার কতিপয় ডিলাররা ওএমএসের চাল সাতটি নসিমনযোগে কালোবাজারে পাচারকালে গৌরনদী থানা পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন।