আলীকদমে শিক্ষাক্ষেত্রে নানা অনিয়মের অভিযোগ

ও মাদরাসায় মাধ্যমিক শিক্ষাক্ষেত্রে নানা অনিয়ম বিরাজ করলেও তা নিরসনে কর্তৃপক্ষের ভ্রুক্ষেপ নেই। শিক্ষকদের মাঝে কোন্দল, অভিভাক ও শিক্ষকদের মধ্যকার দুরত্বের কারণে মাধ্যমিক শিক্ষাক্ষেত্রে কাঙ্খিত সুফল পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বাস্তবতার আলোকে গত ৭ এপ্রিল জেলা প্রশাসক আলীকদম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অভিভাবক সম্মেলন করেছেন।

আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় এমপি প্রতিনিধি, উপজেলা বিএনপি সভাপতিসহ অর্ধশতাধিক ছাত্র অভিভাবকের স্বাক্ষরিত অভিযোগপত্রে জানা গেছে, ছাত্রের পরিবর্তে শিক্ষকরাই ছাত্রাবাস দখল করে আছেন আলীকদম সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ে। ফলে দুর-দুরান্তের ও পাহাড়ি এলাকার ছাত্ররা আবাসিক সুবিধা না পেয়ে লেখাপড়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন ১৯৯৮ সালে। সরকারী বিধিমালা অনুযায়ী একজন শিক্ষক এতবছর একই কর্মস্থল থাকার কথা নয়। তিনি একটি সাংস্কৃতিক সংগঠনের পেছনে শিক্ষকতার চেয়ে বেশী সময় দিচ্ছেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়, দীর্ঘ একদশক ধরেই তিনি এ সংগঠনের সভাপতির পদ আঁকড়ে ধরেছেন। তার বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ফলে তিনি সম্প্রতি অনুষ্ঠিত একটি অভিভাবক সম্মেলনে অভিভাবক নামধারী একজন জুয়াটিকে দিয়ে তার পক্ষে সাফাই গেয়ে বক্তিৃতা করান এবং সেখানে সংবাদ মাধ্যমকে তাচ্ছিল্যকরভাবে উপস্থাপনের প্রয়াস চালান।

স্থানীয় ছাত্র অভিভাবক রবিদয় তঞ্চঙ্গ্যা প্রু জানান, সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিভাবকরা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাঠালেও কর্তৃপক্ষ নির্বিকার রয়েছেন। এদিকে, আলীকদম ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসায় চলছে সুপার ও শিক্ষকদের মাঝে স্বার্থগত দ্বন্ধে রশি টানাটানি। সুপারের ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগের সম্প্রতি শিক্ষকরা ক্লাস বর্জনও করেছেন। সুপার দু’তিন জন শিক্ষকদের তার পক্ষে খয়ের খাঁ বানিয়ে অপরাপর শিক্ষকদের কথায় কথায় নোটিশ ইস্যু করে ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরদিকে, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক পরিচালিত রেপারপাড়ি আবাসিক বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক রীতিমত আবাসিক সুবিধা নিলেও দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। আবাসিক শিক্ষিকারা সেখানে অবস্থান না করায় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রদত্ত সুবিধাগুলো সঠিক নিয়মে মনিটরিং করা যাচ্ছেনা বলে স্থানীয় অভিভাবকরা জানান।