বরিশালের ত্রাস গাফফার তালুকদারের নেতৃত্বে জলদস্যুদের বৈঠক

নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার জলদস্যুদের গোপন বৈঠক হয়েছে। জলদস্যুদের নতুন করে শক্তি বুদ্ধিসহ নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সেখানে আলোচনা হয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

 জানা গেছে, উপজেলার মেমানিয়া ইউনিয়নের চরমেমানিয়া এলাকার মারিয়া ব্রিকস ফিল্ডে বেলা ১১টায় থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত আড়াই ঘন্টাব্যাপী জলদস্যুদের বৈঠক বসে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নিষিদ্ধ ঘোষিত সর্বহারা কামরুল গ্র“পের আঞ্চলিক নেতা বড় জালিয়ার জাকির হোসেন, দ্বীন ইসলাম হত্যা মামলার আসামী মোস্তফা শিকদার,আন্তঃ জেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য একাধিক মামলার আসামী চরকিল্লার আনোয়ার পাটোয়োরী, আলীগঞ্জের সগির শিকদার, কাউরিয়া এলাকার সন্ত্রাসী শাহীন খান। এরা প্রত্যেকেই জলদস্যু হিসেবেও পরিচিতি। মেঘনাসহ বিভিন্ন নদ নদীতে এরা ডাকাতি ও চাঁদাবাজী করে আসছে। চরমেমানিয়ায় গাফফার তালুকদারের সঙ্গে জলদসুদের এরকম বৈঠকের খবরটি এলাকায় চাউর হয়ে যায়। ঘটনাটি পুলিশকেও অবহিত করেছে স্থানীয়রা। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই তারা স্থান ত্যাগ করতে সক্ষম হয়েছে। একটি সূত্র জানিয়েছে গোপন বেঠকে ৩০ থেকে ৩৫ জন সদস্য  উপস্থিত ছিল। এদের মধ্যে ৫/৬ জন ছিল সাতক্ষীরা জেলার।

সূত্র বলছে, হিজলা থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক গাফফার তালুকদার। তিনি গৌরাবদ্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানও। দীর্ঘ বেশ কয়েকবার আগ থেকেই গাফফার তালুকদার হিজলার অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রন করে আসছেন। একই সঙ্গে তিনিই মেঘনা নিয়ন্ত্রনে এক জলদস্যু বাহিনী গঠন করেন। সেই বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন সময়ে মেঘনায় লুটপাট চালাচ্ছে। গাফফার তালুকদারের বিরুদ্ধে কয়েকটি হত্যার অভিযোগ রয়েছে। ওয়ান ইলেভেনের প্রেক্ষাপটে সন্ত্রাসী তালিকায় গাফফার গ্রেপ্তার হন। বেশি দিন তাকে কারাগারে আটকে রাখা সম্ভব হয়নি। জেল থেকে বেড়িয়ে তিনি ফের অপরাধ জগত নিয়ন্ত্রন করছেন। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমালের ন্যায়ই তিনি আওয়ামী সরকারের আমলেও অন্যায় অপকর্ম করে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। তার নানাবিধ অপকর্মে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হলেও প্রতিবাদের জো নেই। প্রতিবাদ করলে তাকে হত্যার শিকার করবে নচেৎ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে  ফাঁসিয়ে দিবে। এভাবে চলছেন গাফফার।
হিজলা থানার ওসি আবুল খায়ের বলেন মেমানিয়ায় গাফফার তালুকদারের আয়োজনে এক বৈঠকের খবর পেয়েছি। তবে ওই বৈঠকে কোন ক্রাইমার ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখছি।

এদিকে বিএনপি নেতা গাফফার তালুকদার বলেন নববর্ষ উপলক্ষে আমার শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনায় বসা হয়েছে। এরবাইরে অন্য কোন সভা হয় নি। আর সেখানে কোন ক্রাইমারও আসেনি।