বরিশালের গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদে গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় সালিশ বৈঠকের রায় ঘোষনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্র“পের হামলা ও সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, চরদিয়াশুর গ্রামের কুদ্দুস সন্যামাত তার পৈত্রিক সম্পত্তির ওপর পাকা দালান নির্মান কাজ শুরু করেন, হাওলাদার গ্র“পের নুর আলম এতে বাঁধা সৃষ্টি করে। এ নিয়ে উভয়গ্র“পের মধ্যে একাধিকবার শালিস বৈঠক বসলেও হাওলাদার গ্র“প সালিশ বৈঠকের রায়কে অমান্য করে। গতকাল রবিবার বিকেলে নলচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের পূর্ণরায় সালিশ বৈঠক বসে। ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেকান্দার আলী মৃধাসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সালিশ বৈঠকে উভয় পক্ষের লোকজনের কাগজপত্র পর্যালোচনা করেন। শেষে হাওলাদার গ্র“পের দাবি বে-আইনী ঘোষনা করে সন্যামাত গ্র“পের পক্ষে রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষনার পর গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে হাওলাদার গ্র“পের সমর্থকরা সন্যামাত গ্র“পের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এসময় উভয়ের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষে উভয়গ্র“পের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত সিরাজ সন্যামাত (৪০), শাহজাহান (৪৪), মোশারেফ খান (৩৭) ও জাহাঙ্গীর হাওলাদারকে (৬০) গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।