জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত শিশু শিল্পীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত

হওয়ার সপ্ন অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। গানের ওস্তাদ নেই, হারমোনিয়াম, ডুগি তবলা কিছুই নেই। তবুও পিছু হটেনি জেরিন (৯)। তার সপ্ন আমি একদিন অন্যদের মত বড় মাপের শিল্পী হব। কিন্তু জেরিনের মা বাবার শংকা তাকে নিয়ে, দারিদ্রতার কষাঘাতে তাদের একমাত্র আদরের কন্যা রিয়া সংগিতা জেরিন কি পোছতে পারবে অভিষ্ঠ লক্ষে? নাকি তাদের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে?

মাত্র ৬ বছর বয়সেই নিজের মেধা ও প্রতিভায় জেরিন নজরুল সংগিতে জাতীয় ভাবে শেষ্ঠত্ব লাভ করে সবাইকে তাগ লাগিয়ে দিয়েছে। ২০০৯ সালে বঙ্গবন্ধূ শিশু কিশোর মেলা কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় ক বিভাগে প্রথমস্থান লাভ করে জেরিন। শুধূ তাই নয় ২০১১ সালে জাতীয় শিশু পুরুস্কার প্রতিযোগিতায় লোক সংগিতে জেরিন জাতীয় ভাবে তৃতীয় স্থান লাভ করে। গত ৪ এপ্রিল মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ডঃ শিরিন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে পুরুস্কার লাভ করে। প্রথম বারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে পুরুস্কার লাভ করেছিল জেরিন। সে সময় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সাথে তার সৌজন্য সাক্ষাত মেলে। জেরিন সংগিতা জাতীয় পুরুস্কারসহ এ যাবত প্রায় অর্ধ শতাধিক পুরুস্কার লাভ করেছে। সে বাংলাদেশ টেলিভিশনের লোক সংগিত কল-কাকলি অনুষ্ঠানের তালিকা ভুক্ত শিশু শিল্পী। গৌরনদী পৌরসভার দক্ষিন বিজয়পুর গ্রামের এস,এম গোলাম কিবরিয়া ও নুরুন নাহারের একমাত্র কন্যা জেরিন।

বর্তমানে সে গৌরনদী সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনীর ছাত্রী। তার বাবা জানান, শুধু মাত্র সংগিত বিদ্যাই নয় পড়া লেখার ক্ষেত্রেও রয়েছে তার অনন্য পতিভা। এ যাবৎ  প্রতিটি ক্লাসেই সে প্রথম স্থান লাভ করে আসছে। বাংলাদেশ কিন্টার গার্টেন এশোশিয়েশন থেকে সে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীতে টেলেন্ট পুলে বৃত্তি পেয়েছে। অসামান্য প্রতিভা থাকা সত্তেও বাবার চাকুরি চ্যুতির কারনে অনিশ্চিত্ত হয়ে পরেছে লেখা পড়ার পাশা পাশি তার সংগিত শিল্পী হওয়ার সপ্ন। ২০০৭ সালে জেরিনের বাবার কতিপয় সহকর্মী চক্রান্ত করে তাকে চাকুরী চ্যুতি করে। ফলে তাদের সংসারে নেমে এসেছে আর্থিক দৈনতা। গত ৩ বছর যাবৎ গানের শিক্ষক দ্বারা তাকে গানের তালিম দেয়া হচ্ছে না। এ ছাড়া হারমনিয়াম, ডুগি তবলাও নষ্ট হয়ে পরে আছে। অর্থাভাবে কোন কিছুই তাকে কিনে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে তার মা নুরুন্নাহার উল্লেখ করেন।