বরিশালে মেয়রপন্থী ছাত্রলীগ ক্যাডার নাহিদের ত্রাস!

নাহিদ সেরনিয়াবাত আবার নতুন করে ত্রাস শুরু করেছেন। এর আগে বহুবার খোলস পাল্টিয়ে ও একাধিক বিতর্কিত কর্মকান্ডে এই ক্যাডার রাজনৈতিক মহলে আলোচিত হয়েছেন। মাঝখানে কিছুদিন বিতর্কিত কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার পর পুনরায় অন্ধকার পথে হেঁটে চলছেন। সর্বশেষ গত শুক্রবার রাত ৯ টায়  ক্যাডার নাহিদ সনাতন ধর্মলম্বীদের অনুষ্ঠানের প্রচার কাজে বাধা প্রদান ও মারধর করায় নগরীতে তোলপাড় চলছে। তার অপকর্মের দৌরাত্ম বন্ধে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারক লিপি দিয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।

সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ৯টায়  শ্মশান কমিটির এক অনুষ্ঠানের জন্য নগরীতে মাইকিংরত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা শ্মশান কমিটির প্রচার সম্পাদক উত্তম কুমার বিশ্বাসকে বেদম মারধর করে নাহিদ। এ ঘটনায় সনাতন ধর্মালম্বীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা ঘটনাটি আ’লীগের শীর্ষ নেতাদের অবহিত করেছেন। তারা নাহিদ সেরনিয়াবাতের এহেন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন ।

সূত্র মতে, বছর খানেক আগ থেকে মেয়র হিরনপন্থী ছাত্রলীগ ক্যাডার হিসাবে পরিচিতি পায় নাহিদ। বিএম কলেজেও তিনি হিরন সমর্থক ছাত্রলীগের ব্যানারে কাজ করছেন।

মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক সমর দাস সমর জানান, নাহিদ সেরনিয়াবাতের বিষয়টি তিনি জেনেছেন। এজন্য তার শাস্তি হওয়া দরকার বলে তিনি মন্তব্য করেন।

বরিশাল শ্মশান কমিটির সাধারন সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র দে বলেন, “উত্তম মাইকিং করার সময় নাহিদ নাকি মোবাইলে কথা বলতে ছিল। তার মোবাইলে কথা বলায় বিঘ্ন ঘটার অজুহাত তুলে মাইকিং করতে বাধা প্রদান করে। একই সঙ্গে তাকে মারধরও করেছে। এ ঘটনায় প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নিকট স্মারক লিপি দেয়া হয়েছে। তবে একটি মহল বিষয়টি মিমাংসার কথা বলছেন।”

এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ ক্যাডার নাহিদ সেরনিয়াবাত বলেন, আমি খারাপ কাজ ছেড়ে দিয়েছি। আমি যদি খারাপই হই তাহলে অনেক কিছু করতে পারি। তিনি বলেন, আমি নাহিদ মরলেও লাখ টাকা বাচলেও লাখ টাকা। তিনি আরো বলেন, আমি কাউকে মারধর করিনি। এটা আমার নামে অপ-প্রচার চালানো হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নাহিদ নামের সঙ্গে সেরনিয়াবাত জুড়ে দিয়ে আ’লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের আগমনের পর বেপরোয়া হয়ে উঠে নাহিদ। নিজেকে সে সর্বত্র জাহির করে সেরনিয়াবাত পরিবারের সদস্য হিসাবে। সেরনিয়াবাত পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজীও করে আসছেন। মুলত নাহিদ মেয়র হিরনের আশির্বাদে পকেটে পুড়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক নাহিদ বিশেষ করে বেশ ক’টি নারী কেলেংকারীর ঘটনা জন্ম দিয়ে খোদ দলের মধ্যেই বিতর্কের পাত্র হিসেবে আখ্যায়িত হন। দুর দুরান্ত থেকে বিএম কলেজে পড়তে আসা অসহায় মেয়েদের টার্গেট করে প্রেমের প্রতারনার ফাঁদে ফেলে তার স্বর্বস কেড়ে নিচ্ছেন নাহিদ। এরকম ভুক্তভোগী মেয়েদের সংখ্যা অসংখ্য। কলেজের বনমালী গাঙ্গলী ছাত্রীনিবাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকলেও নাহিদের রয়েছে অবাধ যাতায়াত। সেখানে কয়েক ছাত্রলীগ নেত্রীর সহযোগিতায় নাহিদ সাধারন ছাত্রীদের যৌন হয়রানী করে আসছে। বিভিন্ন অপকর্মের ঘটনায় তিনি মিডিয়ার শিরোনামও হয়েছেন। এজন্য তিনি দলের নেতা-কর্মীদের তোপের মুখেও পড়েছেন। এরপর মাঝখানে তিনি নিরব ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে নাহিদ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের চাউর ঘটাচ্ছেন।