স্বদেশবাসীর কল্যানের জন্য এ মুক্ত প্রাণের সাদা মনের মানুষটি হচ্ছেন-বরিশালের গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল গ্রামের মরহুম রুস্তুম আলী আকনের পুত্র আবুল কালাম আজাদ ওরফে আকন আজাদ। ১৯৭৩ সালে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তিনি জন্মগ্রহন করেন। বরিশাল পলিটেকনিক্যাল কলেজ থেকে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শেষ করে ১৯৯২ সালে ষ্টুডেন্টস্ ভিসায় তিনি সুইজারল্যান্ডে পারি জমান। ১৯৯৭ সালে সুইজারল্যান্ডের সম্ভ্রান্ত পরিবারের কন্যা জিনার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তিনি। ২০০০ইং সালে ওই দেশের নাগরিত্ব লাভ করেন। বর্তমানে তিনি দু’কন্যা সন্তানের জনক। তার স্ত্রী জিনা আকন সুইজারল্যান্ডের একটি প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীর ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
অতিসম্প্রতি নারীর টানে তিনি জন্মভূমিতে ফিরে আসেন। পল্লী সেবা বহুমুখী সংস্থার মাধ্যমে তিনি গৌরনদীর শতাধিক দুঃস্থ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের স্বাবলম্বী করার লক্ষে ভ্যান গাড়ি, সেলাই মেশিনসহ নানা উপকরন ও নগদ অর্থ বিতরন করেন। এরপূর্বে সিডরের সময় তিনি দেশে ফিরে প্রলয়ঙ্ককরী ঘূর্ণিঝড় সিডরে ক্ষতিগ্রস্থদের পূর্ণবাসিত করার লক্ষে আর্থিক সহযোগীতা, ত্রান সামগ্রী, চিকিৎসা সহায়তাসহ সিডরে বির্ধ্বস্ত দু’হাজার পরিবারের ঘর পূর্ণ নির্মান ও ২০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পূর্ন নির্মান করে দিয়েছেন।
পাশাপাশি অর্থাভাবে সমাজের ঝড়ে পরা শিশুদের শিক্ষার কথা ভেবে তিনি গৌরনদীর টরকী এলাকায় একটি কেজি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। বিনামূল্যে ওই স্কুলে পাঠদান করানো হয়। এছাড়াও মেধা বিকাশের লক্ষে গৌরনদীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে নগদ অর্থ ও বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী বিতরন করেন। পল্লী সেবা বহুমুখী সংস্থার মাধ্যমে তিনি সমগ্র বাংলাদেশের বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান, মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের লক্ষে উপবৃত্তি প্রদান কার্যক্রম ও প্রতিবন্ধী, দুঃস্থদের কল্যানে সেবামূলক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করতে চান।
সুইজারল্যান্ড প্রবাসী আকন আজাদ আক্ষেপ করে বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াতের চারদলীয় জোট সরকারের আমলে সুইজারল্যান্ড সরকারের আর্থিক সহযোগীতায় বাংলাদেশে উন্নয়ন মূলক একাধিক পরিকল্পনা গ্রহন করে সুইজ প্রতিনিধিদের নিয়ে আসা হয়েছিলো কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে তৎকালীন রাজনৈতিক কতিপয় মন্ত্রী ও আমলাদের মোটা অংকের উৎকোচ দাবির ফলে সুইজ প্রতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ থেকে চলে যান।