হলিকেয়ার মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে যুবককে পিটিয়ে হত্যা

কেন্দ্রে এক যুবককে আজ শনিবার বিকেলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের নাম জাকির হোসেন(৩৮)। তার লাশ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নগরজুড়ে তোলপাড় চলছে।

জানা গেছে, হলিকেয়ার সেন্টারের পরিচালক সুমন। তিনি দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মাদকাসক্তদের চিকিৎসা কেন্দ্রের আড়ালে দেদারছে মাদক ব্যাবসা করে আসছে। একই সঙ্গে মাদক নিরাময় হলিকেয়ার সেন্টারকে তিনি অনেকটা টর্চার শেলে পরিনত করেছেন।  নানাবিধ অপকর্মে বেশ কয়েকবার মিডিয়ার শিরোনামও হয়েছেন এই সুমন। সূত্র বলছে, সম্প্রতি উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের খলেদপুর এলাকার আবদুল মান্নানের পুত্র জাকির হোসেন নগরীর মুনসুর কোয়াটারে ভগ্নিপতি ইউনুছের বাসায় বেড়াতে আসে। গত ১৪ এপ্রিল বোন মুক্তা বেগম ভাই জাকিরকে জর্ডান রোডের মাদক নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করে। শুরু থেকেই চিকিৎসার নামে তাকে শারীরিক নির্যাতন করে দ্বায়িত্বরতরা। একপর্যায়ে তাদের অমানুষিক নির্যাতনেই প্রান হারাল যুবক জাকির। বিকেল ৫টার দিকে তাদের নির্যাতনে মূমুর্ষ অবস্থা হলে তাকে নিয়ে শেবাচিম হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন হলি কেয়ারের ডিপ্লোমা নার্স পুলিন সরকার। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির আগে জাকির মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

একাধিক সূত্র জানায়, হলিকেয়ার সেন্টারে কর্মরত সকলেই মাদকাসক্ত। তারা নিজেরা মাদকের হোল সেলার। আবার চিকিৎসায় আসা রোগীদের সঙ্গে সর্বদা র্দূব্যবহার করে। রোগীদের প্রত্যহ শারীরিক নির্যাতন করে।
এদিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছে সুমন। সে মিডিয়া, প্রশাসন, পরিবার ম্যানেজে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে। সুমনকে রক্ষা করতে এক মহলও জোরেশোরে মাঠে নেমেছে। নিহত জাকিরের বোন মুক্তা জানান হলিকেয়ারে ভর্তিও পর সেখানে আমাদের আর প্রবেশ করতে দেয়নি। শনিবার দুপুরেও হলিকেয়ারে ফোন করে জাকিরের খোঁজ নিলে দ্বায়িত্বরতরা বলেছেন জাকির সুস্থ রয়েছে। সে এখন ঘুমাচ্ছে। বিকেল ৫টায় হলিকেয়ার থেকে ফোন করে জানায় যে জাকির মারা গেছে। স্বজন মনির হোসেন গৌরনদী ডট কমকে জানান নিহতের শরীরের গলায় রক্ত জমাট রয়েছে। এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

হলিকেয়ারের পরিচালক সুমন বলেন জাকিরের বাড়ি গুডিয়ায়। তার বোনের বাসা নগরীর মুনসুর কোয়াটার। সেখান থেকে নব-বর্ষের দিন তার হলিকেয়ার সেন্টারে ভর্তি করে। ভর্তিকালীন সময়েই সে অসুস্থ ছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির মারা গেছেন। তাকে কেউ মারধর করেন নি বলে মন্তব্য করেন সুমন।