গ্রাম্য ফতোয়ার স্বীকার হিন্দু পরিবার

স্বীকার হয়ে মৃত মায়ের মন্ত্রপাঠ করতে পারেননি একটি হিন্দু পরিবারের সদস্যরা। ফতোয়াবাজদের হুমকির মুখে সমাজের ব্রাক্ষ্মন (পুরোহিত) কেশব ব্যানার্জী ওই বাড়িতে প্রবেশ করতে পারেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, মোহনকাঠী গ্রামের স্বর্গীয় নিরঞ্জন হালদারের স্ত্রী তারামনি হালদার গত ৬ এপ্রিল পরলোকগমন করেন। তারামনির পুত্র নিমাই হালদার (২৫) জানান, গত ১৭ এপ্রিল ছিলো তার মায়ের পারলৌকিক ক্রিয়ার মন্ত্রপাঠের দিন। ওইদিন মন্ত্রপাঠের জন্য সমাজের পুরোহিত কেশব ব্যানার্জীকে ওই বাড়িতে যেতে হুমকি প্রদান করেন সমাজপতি সরবিন্দু ওরফে কুশাই বৈরাগী, শ্রীকান্ত মন্ডল, জগদীশ হালদার, ধীরেন মন্ডল। তাদের হুমকির মুখে পুরোহিত কেশব ব্যানার্জী মন্ত্রপাঠে অপরাগতা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে রবিবার রাতে পাশ্ববর্তী উজিরপুর উপজেলার মুন্সীরতালুক গ্রামে গিয়ে পুরোহিত কেশব ব্যানার্জীর কাছে মন্ত্রপাঠ করেন নিমাই হালদার ও তার বোন ময়না হালদার। উল্লেখ্য, সমাজের কতিপয় সমাজপতিদের রোষানলে পরে গত ১৭ এপ্রিল বিয়ের দাবিতে স্থানীয় দু’কিশোরী বোনকে দিয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করায় নিমাই হালদারদের বাড়ির দু’যুবকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গত শনিবার কথিত সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে মামলা নিস্পত্তি এবং ওই দু’কিশোরী বোনকে বিয়ে না করা পর্যন্ত নিমাই হালদারদের বাড়ির লোকজনদের সমাজচুত্য করার ঘোষনা করা হয়।

এ ব্যাপারে সমাজপতি সরবিন্দু ওরফে কুশাই বৈরাগীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সমাজের সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সালিশ বৈঠকের রায় ঘোষনা করা হয়েছে।