কালকিনির পুলিশের এ কেমন নিষ্ঠুরতা !

আটকের পর হাত কড়া পড়িয়ে থানায় আনার সময় বাদীপক্ষরা তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। গুরুতর আহত ওই আসামীর অবস্থা আশঙ্গাজনক হওয়ায় থানায় না এনে উক্ত স্থানেই ফেলে রেখে আসে পুলিশ। স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে অবস্থার আরো অবনতি হলে শনিবার বিকালে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। ওই আসামীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দেখতে আসা প্রত্যক্ষদর্শীরা এমন কর্মকান্ডে ধিক্কার জানিয়েছে পুলিশকে। পুলিশের নিষ্ঠুরতায় হতবাক হয়েছেন সকলেই। ঘটনাটি ঘটেছে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউপির মধ্যচর এলাকায়। এ ঘটনায় সর্বত্র ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় আহত সবুজ বেপারী(২২) এ প্রতিবেদককে জানান, এসআই ফায়েকুজ্জামান ও এএসআই নাসির উদ্দিন শুক্রবার রাতে তাকে ইরি ক্ষেতে পানি দেয়ার সময় আটক করে। আটকের পরে পুলিশ হাত কড়া পড়িয়ে থানায় নিয়ে আসার সময় খাসের হাট পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এলে বাদীপক্ষের লোকমান হোসেন চৌধুরী, আবু আলম কবিরাজ, আরিফ চৌধুরীসহ ১০/১২জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পুলিশের সামনেই তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। অচেতন হয়ে পড়লে পুলিশ তার হাত কড়া খুলে দিয়ে উক্ত স্থানেই ফেলে রেখে চলে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উক্ত এলাকার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ‘এ ঘটনায় পোষাকে লেগে থাকা আহতের রক্ত ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা আঁড়িয়াল খাঁ নদে ধুয়ে ফেলে দ্রুত চলে আসে। খবর পেয়ে আহত সবুজের পরিবারের লোকজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে’।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহবুব আবীর জানান, ‘সার্বোক্ষনিক পর্যবেক্ষনে রাখার পরও সবুজের অবস্থার আনো অবনতি হলে শনিবার বিকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য একটি ভালো হাসপাতালে ভর্তি করার পরমর্শ দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে’।

এ ব্যাপারে থানার এসআই ফায়েকুজ্জামান জানান, ‘সবুজের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় আমরা তাকে আটকের জন্য গেলে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেছি। এ ঘটনায় সবুজের পরিবার মামলা দিলে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে’।