ব্যাপক সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। উভয়ের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় পুলিশ কয়েক নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। দুপুর ১২টার দিকে তারেক রহমান ও আরাফত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের একটি গ্র“প কেন্দ্রীয় ছাত্রনেতা জিএম আতায়ে রাব্বী ও মহানগর ছাত্রনেতা আমিনুল ইসলাম লিপনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিলটি অশ্বিনী কুমার টাউন হলে পৌছলে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। ছাত্রদল কর্মীরাও পুলিশের উপর ইটপাটকেল ছুড়ে মুরে। উভয়ের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পুলিশের দু’সদস্য আহত হয়েছে। এদের মধ্যে হাতে গুরুতর জখম হয়েছে সুবেদর হেলাল। সংর্ঘষে আহত হয়েছে মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক আমিনুল ইসলাম লিপন, তারিকুল ইসলাম শাহীন, সাইফুল ইসলাম সুজন, রিপন, পাপ্পু, জিতু, রকিরানা, শামীম রেজা, অথৈও, রিয়ন, ফিরোজ। ছাত্রনেতা আমিনুল ইসলাম লিপন জানান শান্তিপূর্ন পরিবেশে মিছিল বের করা হয়। কিন্তু পুলিশ হঠাৎ করে নেতা-কর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
এছাড়া তাদের মিছিল থেকে পুলিশ ছাত্রদলের ৬ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচীর অংশ হিসাবে নগরীতে বিক্ষোভ সমাবেশ’র আয়োজন করে এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার সমর্থক বিএনপি। সদর রোডস্থ জেলা ও মহানগর বিএনপির কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষে নগরীতে মিছিল বের করে। মিছিলটি সোহেল চত্বরে পৌছলে দলের মধ্যে হাতহাতির ঘটনা ঘটে। ওই সময়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংর্ঘষে লিপ্ত হয় ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করে। ছাত্রদল নেতা-কর্মীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আর ছাত্রদল বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে আহতরা হলো বিএনপি নেতা বিসিসি কাউন্সিলর মীর জাহিদুল কবির জাহিদ(৪০),ছাত্রনেতা হাফিজ আহমেদ বাবলু, রুবেল(২০),আসিফ আহমেদ অপু(২২),রাকিব(২৪),মাহফুজ(২৫)। জেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক হাফিজ আহমেদ বাবলু বলেন পুলিশ বিনা কারনে মিছিলের উপর হামলা চালিয়েছে।
বরিশাল কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি শামাল দিতে গিয়ে পুলিশের দুই সদস্য জখম হয়েছে।