একেই বলে ছাত্রদল নেত্রী!

নাসরিনের অসাংগঠনিক কর্মকান্ডে ক্ষুদ্ধ হলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার। সম্প্রতি এই ছাত্রদল নেত্রী অবৈধ পন্থায় মহানগর কমিটিতে তিন জন জয়েন কনভেনর কোঅপ্ট করায় এমপি সরোয়ার ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটান।

এমপি মজিবর রহমান সরোয়ার পন্থী হিসেবে পরিচিত আফরোজা খানম নাসরিন। সে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সম্পাদকের স্বাক্ষরবিহীন নতুন করে মহানগর কমিটিতে তিন জনকে কোঅপ্ট করানোর চাউর ঘটান। এরা হলো চৌধূরী সাইদ খোকন, মতিউর রহমান মিঠু ও দোলন। একই সঙ্গে নয়া পদ পাওয়ায় তারা নগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে এমপি সরোয়ারকে অভিনন্দন জানিয়ে পোস্টারও সেটে দিয়েছে। গঠনতন্ত্র বর্হিভূত কোঅপ্ট করার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মহানগর কমিটির নেতৃবৃন্দ। নেতৃবৃন্দ বিষয়টি এমপি সরোয়ারকে অবহিত করে বলেছেন সম্পূর্ন অবৈধভাবে অযোগ্যদের মহানগর কমিটিতে কোঅপ্ট করা হয়েছে। এটার সমাধান না হলে ছাত্রনেতারা আন্দোলনে নামার ঘোষনা দেন।

একটি সূত্র জানিয়েছে শুধু মাত্র কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদকের স্বাক্ষর নিয়ে নাসরিন কর্তৃক লবিংয়ের মাধ্যমে খোকন,মিঠু ও দোলনকে যুগ্ন আহবায়ক পদে কোঅপ্ট করে। এরপর নাসরিন তার অনুসারীদের নিয়ে এমপি সরোয়ারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে কাউনিয়ার বাসভবনে যায়। এমপি সরোয়ার তাদেরকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পাশাপাশি নাসরিনকে ক্ষিপ্ত কন্ঠে প্রশ্ন রেখে এমপি সরোয়ার বলেন কেন এরকম বিতর্কিত কাজ করলে। এমপি ছাত্রদল নেত্রীকে উদ্দেশ্যে করে নানা কটুক্তিও করেছেন বলে জানা গেছে।

বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক খন্দকার আবুল হাসান লিমন বলেন, আফরোজা খানম নাসরিন সেন্ট্রাল কমিটির সভাপতি কিংবা সেক্রেটারীর কোন অনুমোদন ব্যাতিতই কয়েক জনকে কোঅপ্ট’র ঘোষনা দেন। এরকম যুগ্ন আহবায়করা মহানগর কমিটিতে ঠাঁই পাবে না। এখন কেউ যদি কাগজ পত্র ছাড়াই নিজেকে যুগ্ন আহবায়ক জাহির করার চেষ্টা করে তাহলে এটা বোকামীর লক্ষন। তিনি আরো বলেন কেন্দ্রীয় সভাপতি-সম্পাদকের সঙ্গে বিষয়টি আলাপ করে নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, নতুন করে কোঅপ্টের জন্য অনুমোদন দেন নি।

মহানগর ছাত্রদলের কো কনভেনর আফরোজা খানম নাসরিন বলেন, সভাপতি-সম্পাদক উভয়ের অনুমোদনেই কোঅপ্ট করা হয়েছে। এখানে অনিয়ম বা অসাংগঠনিক কর্মকান্ডের কোন প্রশ্নই আসে না। আর এমপি মজিবর রহমান সরোয়ারও তাকে গালমন্দ করেননি।