খোড়া স্বজলের জিম্মী দশায় বরিশালবাসী

সজল ওরফে খোরা সজলের যন্ত্রনায় দিশেহারা বরিশাল বাসী। বিভিন্ন রকম অজুহাতে ফান্দে ফেলে নিরীহ মানুষদের জিম্নি করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করাই বর্তমানে সজলের পেশা। প্রতিদিন তার ফোন্সিডিলের টাকার যোগান দিতে কাউকে না কাউকে ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। তার সহযোগী হিসেবে রয়েছে রনি ওরফে গাঙ্গুয়া রনি। জানাগেছে, সদর হাসপাতাল রোড এলাকার ল’কলেজের এরিয়ায় ভাই মিলন ভূইয়ার সংসারে থাকেন সজল। ইতি পূর্বে সজল কয়েকবার পত্র-পত্রিকার শিরোনামও হয়েছেন। চাদাবাজি ও ছিনতাই মামলায় একাধিক বার জেল খেটেছেন সজল। সোমবার ঝাউতলা ৩য় গলি এলাকার পান্না নামক এক দিন মজুরির কাছে সজল ফেন্সিডিল সেবনের টাকা দাবী করে। এতে দিনমজুর পান্না ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে সজল জন সম্নুখে পান্নার লুঙ্গি ধরে টান দেয়। পরে পান্না কোনরকম দৌড়ে সজলের হাত থেকে রক্ষা পায়। ভাই মিলন ভূইয়ার নাম ভাঙ্গিয়ে সজল যাচ্ছে তাই করে বেরালেও মিলন ভূইয়ার তাতে কিছু যায় আসেনা। বরং ভূইয়া পরিবার যেন সজলের গুন্ডামিতে নিজেদের ধন্য মনে করছেন। বিভিন্ন সময় সজলের এসব কর্মকান্ড সম্পর্কে একাধিকবার মিলন ভূইয়াকে অবিহিত করা হলেও এত তাদের কোন মাথাব্যাথা হয়নি।

সর্বশেষ এ বিষয়ে মিলন ভূইয়াকে জানানোর চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য যে, মন গলানোর জন্য চাইলেই যখন তখন কান্না করতে পারা সজলের আলাদা একটি বৈশিষ্ট। বর্তমানে বরিশাল বাসী প্রশাষনের কাছে সজল ওরফে খোরা সজলের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাচ্ছেন।