ঝিমিয়ে পরেছে গৌরনদী বিএনপির কার্যক্রম

হিসেবে পরিচিত থাকলেও আজ আর তেমনটি নেই। ঝিমিয়ে পরেছে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মী।

মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের অভিযোগ,কর্মসূচীর নামে বিএনপি নামধারী  সুবিধাবাদী কয়েকজন নেতাকর্মী তাদের নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করতে কর্মসূচীর নামে কয়েকজন লোক রাস্তায় দাড় করিয়ে ছবি তুলে সাংবাদিকদের সরবরাহ করে সংবাদপত্রে ছাপানোর জন্য। এমনকি কি কর্মসূচি তারা পালন করেছে তার প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠায় গৌরনদী প্রেসক্লাবসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে। সেসব প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঐসব সুবিধাবাদী নেতাদের সমর্থন না করলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অন্য নেতাদের নাম থাকেনা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন নেতাকর্মী বলেন, তারা দিনের পর দিন কেন্দ্রীয় বা স্থানীয় কোনো কার্যক্রম পালন না করেও মিথ্যা প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। এতে শুধু তাদের গুটি কয়েক নিয়মিত কর্মীদের নাম প্রকাশ করা হয়। যার প্রমান মিলবে কয়েকদিনের প্রেস বিজ্ঞপ্তি মিল করে দেখলেই।

সর্বশেষ বি.এন.পির সিনিয়র সহ সভাপতি জনাব তারেক রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে গৌরনদী উপজেলা ও পৌর শাখা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। পুলিশের বাধায় তা সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি গৌরনদী উপজেলা বিএনপির অংগ সংগঠনের নের্তৃবৃন্দ।

তারপরেও সুবিধাবাদী মহল ঐদিন সকাল ১০.৩০ মিনিটের দিকে বরিশাল জেলা (উঃ) যুবদল সাধারণ সম্পাদক গৌরনদী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউজ্জামান মিন্টুর বাড়ির সম্মুখ রাস্তায় কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে ছবির পোজ দেয়া হয় এবং প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তা (ছবি) সরবরাহ করা হয়।

এ ব্যাপারে গৌরনদীর কয়েকজন সিনিয়র নেতা অভিযোগ করেন, তাদের নেতৃত্ব দেয়ার মত কয়েকজন বড়মাপের নেতাকে সংস্কার পন্থি আক্ষায়িত করে দলের কার্যক্রম থেকে দুরে সরিয়ে দেয়ার পর থেকে দলের এ অবস্থাই চলছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত সব বড় নেতা কর্মীই ঢাকায় ব্যবসা থাকার সুবাদে এলাকার (উপজেলা) কার্যক্রমে তাদের অংশ গ্রহন নেই বললেই চলে।

উল্লেখ্য, গৌরনদী উপজেলার কমিটি নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান এর নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের পর কমিটি ঘোষনা করা হয়। কমিটি গঠনের জের ধরে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির মধ্যে ব্যাপক বিরোধের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বিরোধ কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে সমাধান না করার সুবাদে একত্রিত হয়ে কাজ করছে না স্থানীয় বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মী। ফলে এখানে বিএনপি মূলত ৩টি ভাগে ভাগ হয়ে আছে। কোনো ভাগই সংগঠনের ভালোর জন্য কোনো কাজ করছেনা। নিজেদের স্বার্থে যার যার মতো কাজ করছে। একটি বড় অংশ রয়েছে একেবারে নিস্ত্রিয়। ফলে বিএনপি অধ্যুষিত এলাকা হওয়া স্বত্বেও এখানে এখন আর তেমনটি নেই।

ষ্টাফ রিপোর্টার – গৌরনদী ডট কম