কলাপাড়ায় তরমুজের বাম্পার ফলন

এলাকায় তরমুজের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে আনন্দর হাসি ভেসে উঠেছে। ধানখালী ,লালুয়া ,ধুলাসার লতাচাপলী ও  খাপড়াভাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা উন্নতজাতের তরমুজের বীজ বপন করে বিগত বছরের চেয়ে এ বছর তরমুজ ফলনে ব্যাপক সারা জাগিয়েছে।

কলাপাড়া কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এক সময় উপকূলীয় কলাপাড়ায় লবনাক্ততার কারনে তরমুজসহ অন্যান্য রবি শস্য উৎপাদন হতোনা। ধীরে ধীরে লবনাক্ততা কমে যাওয়ার ফলে কৃষকরা তরমুজসহ রবিশস্য চাষ শুরু করে। বর্তমানে এ কৃষকদের কাছে তরমুজ অর্থকরি ফষল হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে।এবার কলাপাড়া উপজেলায় প্রায় ১৫’শ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষাবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। বে-সরকারী সংস্থা ব্র্যাক কলাপাড়া অফিস সূত্রে জানা গেছে ,উপজেলার সবক’টি ইউনিয়নের ভূ-ভাগ তরমুজ চাষের উপযোগী হলেও বে-সরকারী সংস্থা ব্র্যাক কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ও লালুয়া এ দু’টি ইউনিয়নের  কৃষকদের মাঝে প্রতি একর জমিতে ৫ হাজার টাকা হিসেবে অনুদান প্রদান করে তরমুজ চাষীদের চাষে উদ্ধুদ্ব করেন। এ টাকা দিয়ে ওইসব কৃষকরা উন্নত জাতের বীজ ,রাসায়নিক সার ,কীটনাশক ওষুধ প্রয়োগ করে ৪৫ একর জমিতে ৫৮ জন উপকার ভোগী কৃষকরা এ বছর তাদের উৎপাদিত তরমুজ প্রতি একরে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করবে বলে জানান।  

লালুয়া ইউনিয়নে তরমুজ চাষী হালিম গাজী জানান, এক সময় অভাবের সংসারে স্ত্রী, তিন ছেলে সহ পাঁচ জনের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়েছিলাম।গত বছর তরমুজ চাষে লোকসান হওয়ার কারনে এক পর্যায়ে উৎসহ হাড়িয়ে ফেলি। ঠিক ওই মূহুর্তে ব্র্যাক কলাপাড়ার সহায়তায় একর প্রতি ৫হাজার টাকা পেয়ে পুনরায় তরমুজ চাষে উৎসাহ জাগে।  

তিনি আরও জানান,এ বছর ১ একর জমিতে তরমুজ চাষ শুরু করি। জমি চাষ, সেচ ও সার বাবদ ৩৫ হাজার টাকা খরচ করেছি। তবে তিনি আশা করনে এ বরি মৌসুম শেষে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার তরমুজ বিক্রি হবে। একই কথা জানালেন লালুয়া ইউনিয়নের দাসের হাওলা গ্রামের জুয়েল রাঢ়ী, হিরন মিয়া,খোকন রাঢ়ী ও ধানখালী ইউনিয়নের মো.রসিদ মোল্লা ও মো.আমিনুর।

এ ব্যাপারে কলাপাড়া উপজেলা ব্র্যাক এরিয়া ম্যানেজার (সি আই পি) মো.তাহমিদুর রহমান জানান, কৃষকদের সাফল্যে আমরাও খুশি। তবে আগামী আউশ ও আমন মৌসুমে  কৃষকদের মাঝে এ সহয়াতা অব্যাহত থাকবে।