বিএমপি’র উপ-পুলিশ কমিশনারের বিরুদ্ধে বিস্তার অভিযোগ

বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। বিশেষ করে তিনি মদ্যপায়ী অবস্থায় দ্বায়িত্ব পালন করায় নগরীতে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন। বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের সঙ্গে তিনি র্দূব্যাহার করেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে টেন্ডারবাজদের সহায়তা করারও অভিযোগ রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি অশীল নূত্যে অংশ গ্রহন  করে জনমনে সমালোচনার ঝড় তুলছেন।

জানা গেছে,বরিশাল আন্তর্জাতিক বানিজ্য মেলায় ‘আদি রাজ মহল’ অপেরার যাত্রা পালায় চলে আসছে অশীল নূত্য। এই অশীল নূত্য কয়েক দিন ধরে উপভোগ করে আসছেন উপ-পুলিশ কমিশনার ভানু লাল দাস। তার সঙ্গে থাকছেন অনেকটা টেন্ডারবাজ হিসাবে পরিচিত বাপ্পী সাহা। মঞ্চে উঠে নর্তকীদের নগ্ন নৃত্যর  সঙ্গে বাপ্পী সাহা তাল মিলাচ্ছে। আর তাকে হাতে তালি দিয়ে অনুপ্রেরনা দিচ্ছেন উপ-পুলিশ কমিশনার ভানু লাল দাস। এজন্য দর্শকদের মাঝে সমলোচিত হন পুলিশ কর্তা ভানু লাল। পাশাপাশি মেট্রো পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছেও তিনি নিন্দিত হয়েছেন। বিষয়টি দেখে বিস্মিত হন উপস্থিত দর্শক ও খোদ পুলিশ সদস্যরাও। কিন্ত পুলিশ কর্মকর্তার ক্ষমতার দাপুটে শক্তিতে সবাই চুপসে যায়। যাত্রা পরিচালনাকারীরা ভানু লাল দাসকে রাতভর নানা উপকরন দিয়েও আপ্যায়ন করানো হচ্ছে।

এদিকে পুলিশ কর্তা ভানু লাল দাস’র নিকট কোন সংবাদ কর্মী সেল ফোনে বক্তব্য  নিতে চাইলে তিনি অগ্নিমূর্তি রূপ ধারন করে সন্ত্রাসী স্টাইলের আচরন করেন। কারন তিনি বেশির ভাগ সময়েই মদ্যপায়ী থাকেন। গৌরনদী ডট কমের বরিশালের বিশেষ প্রতিনিধি আহমেদ জালাল মঙ্গলবার রাতে  উপ-পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য নিতে সেল ফোনে ডায়াল করেন। তিনি ফোন রিসিভ করেন। অতঃপর সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরও তিনি মাতালের ন্যায় অপ্রসাঙ্গিক কথা বলেন। তিনি হুমকীর সুরে বলেন আর ফোন দিবি না; আমি কি তথ্যের ভান্ডার তথ্য দিবে ওসি। এক মিনিট যেতে না যেতে ফের এ রিপোর্টারকে ফোন দিয়ে বলেন আবার যদি ফোন দিস তাহলে তোকে ফাটাইয়া ফালাব।

মেলায় অশ্লী নৃত্যতে অংশ গ্রহন প্রসঙ্গে উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) ভানু লাল দাস সাংবাদিকদের বলেন,বানিজ্য মেলার সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে গিয়েছিলেন। তবে যাত্রার অভ্যন্তরে তিনি প্রবেশ করেন নি বলে দাবী করেন।

বরিশাল বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক রফিক সেরনিয়াবাদ বলেন ভানু লাল দাস পুলিশ নামের কলংক। কোন ভুক্তভোগী ভানু লাল’র শরনাপন্ন হলে তিনি প্রথমে র্দূব্যবহার শুরু করেন। পুলিশের সেবকের ভুমিকার বিপরীতে তিনি পথ চলছেন।

 মেট্রো পুলিশ কমিশনার সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, উপ- পুলিশ কমিশনারের যাত্রায় যাওয়াটা বেমানান। বিষয়টি তিনি খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেন।

প্রসঙ্গত বছর খানেক আগে ভানু লাল দাস বরিশাল মেট্রোতে উপ-পুলিশ কমিশনারের দ্বায়িত্বে আসেন। শুরু থেকেই তার নানাবিধ কর্মকান্ডে বরিশারে বিতর্কের জন্ম দেন। সুনাম ক্ষুন্ন করতে থাকে স্বচ্ছতার সঙ্গে দ্বায়িত্ব পালনকারী পুলিশ কর্তাদের। সর্বশেষ বিতর্কিত পুলিশ কর্তা ভানু লাল দাসের শাস্তি নিশ্চিতে বিভিন্ন মহলে দাবী তুলছে।