মেহেন্দীগঞ্জে ট্যাকঅফিসারদের বিরুদ্ধে লুটপাটের অভিযোগ

দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচিতে ব্যাপক অনিয়মের খবর পাওয়া গেছে। একইসাথে প্রজেক্ট সভাপতির দ্বায়িত্ব পাওয়া ট্যাক অফিসারদের লুটপাটে কর্মসূচির যথাযথ বাস্তবায়ন নিয়ে দেখা দিয়েছে উৎকন্ঠা! সূত্রমতে, বর্তমান সরকারের বেকারত্ব দূরীকরন ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য প্রকল্পের আওতায় উপজেলাব্যাপী ১১৭টি প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রকল্পে মসজিদের ইমাম, স্কুল শিক্ষক ও সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিদের সদস্য হিসেবে রাখার সরকারী বিধী থাকলেও বিধির তোয়াক্কা করছে না প্রকল্প হোতারা। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটিগুলো বেশিরভাগই ঢালাওভাবে সাজানো হয়েছে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী দিয়ে।

এদিকে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত ও সরকারি নানা কাজে ব্যস্ত থাকার ফলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রতিটি প্রকল্পে প্রত্যক্ষভাবে দেখভাল করতে না পারার সুযোগ নিয়ে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত ট্যাক অফিসাররা নিরবে চালিয়ে যাচ্ছে লুটপাট। সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, প্রত্যেকটি প্রকল্পের নির্দিষ্ট শ্রমিকসংখ্যা থাকলেও বাস্তবে কাজ করছে তার অর্ধেকেরও কম শ্রমিক। স্থানীয় বিঙ্গমহল মনে করেন, নির্দিষ্ট শ্রমিকসংখ্যা থাকার পরও তার অর্ধেকেরও কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করানোয় শ্রমিক বন্চিত হচ্ছে তাদের অধিকার থেকে জনগন বন্চিত হচ্ছে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন থেকে। পাশাপাশি এসব দুর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের বিরুদ্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহনে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করে এদেশের সাধারন মানুষ।

প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির ব্যাপক অনিয়মের ফলে প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ন নিয়ে উৎকন্ঠার খবরে উপজেলাব্যাপী সাধারন ও সচেতনমহলে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। যে কোন মূহুর্তে ফুসে উঠতে পারে জনতা। প্রকল্পের ব্যাপক অনিয়ম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: বদরুল হক বলেন, অনিয়ম খতিয়ে দেখা হচ্ছে, অনিয়ম পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।