গৌরনদীতে সুগন্ধি বাংলামতির ধানের বাম্পার ফলন

এলাকায় গুটি ইউরিয়া ব্যবহারের মাধ্যমে সুগন্ধি ব্রি-৫০ বাংলামতি ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার দুর্গম এলাকা পশ্চিম চন্দ্রহার ব্লকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বাংলামতি ধানের নমুনা কর্তনের উদ্বোধন করেছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সিকিউকে মুসতাক আহম্মেদ।    

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর শস্য কর্তনের পর হেক্টর প্রতি ৭ মেট্রিক টনেরও বেশি ফলন ঘোষণা করেছেন। যা গত বছরে তুলনায় অনেকগুন বেশি। গত ২১ এপ্রিল বিকেলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব সিকিউকে মুসতাক আহম্মেদ পশ্চিম চন্দ্রহার ব্লকের বাংলামতি ধানের নমুনা কর্তনের উদ্বোধন করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. এসএম নাজমুল ইসলাম, বিএডিসির তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মাহবুবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক শাহে আলম, প্রকৌশলী আবুল কাসেম, গৌরনদী পৌরসভার মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান হারিছ, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি খন্দকার শাহে আলম মঞ্জু, সাধারন সম্পাদক মোঃ জামাল উদ্দিন, গৌরনদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন কুমার মন্ডলসহ ওই ব্লকের শতাধিক কৃষকেরা উপস্থিত ছিলেন।  

গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পশ্চিম চন্দ্রহার ব্লকের কৃষক নুরে আলম মোল্লা জানান, গত বছর তিনি প্রথম বাংলামতির চাষ করে হেক্টরে ৭ মেট্রিক টন (একরে ৭০ মন) ফলন পান। চলতি মৌসুমে গুটি ইউরিয়া প্রয়োগসহ কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে বাংলামতি ধানের চাষ করে ৭ দশমিক ১ মেট্রিক টন (একরে ৭০ দশমিক ১ মণ) ফলন পেয়েছেন। স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত দু’বছর পূর্বে ব্রি-৫০ বাংলামতির ধানের উদ্ভাবনের পর এ ধানের ফলন হেক্টর প্রতি সাড়ে ৬ থেকে ৭ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হলেও বাস্তবে তা অনেকগুন বেড়ে গেছে। সুগন্ধি এ ধানের বাম্পার ফলন দেখে কৃষি সচিব সিকিউকে মুসতাক আহম্মেদ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এরপূর্বে কৃষি সচিব এসকেভেটার দিয়ে জনগুরুতপূর্ণ সরিকল-বাটাজোর খালের দুই কিলোমিটার খান খননের উদ্বোধন করেন। একইদিন বিকেলে তিনি বিএনডিসির উদ্যোগে সাকোকাঠী, কৃষি ব্যাংকের উদ্যোগে মাহিলাড়ার কৃষকদের সাথে মতবিনিময় ও সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা প্রসাশন ও কৃষকদের সাথে অনুরূপ মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। বিশ্ব বাজারে সারের দাম বাড়ছে। অথচ বাংলাদেশের কৃষকদের কথা চিন্তা করে বতর্মান সরকার তৃতীয় দফায় সারের দাম কমিয়েছে। এতো অল্প দামে বিশ্বে আর কোথাও সার পাওয়া যায়না। বরিশালকে আবার প্রধান খাদ্য শষ্য ভান্ডার হিসেবে গড়ে তোলা হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।