প্রশাসনের অবহেলায় শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চয়তায়

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজকর্ম বিভাগের শেষবর্ষের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষানবিস সাংবাদিক মেসবাহ উল্লা শিমুলের শিক্ষাজীবন হুমকির সম্মুখীন হয়েছে। হাইকোর্টে স্থগিতাদেশ থাকার পরও সম্পূর্ণ অবৈধভাবে বহিস্কারের সিদ্ধান্তের ১৫ দিন পরেও  বিভাগে কোন চিঠি না দেওয়ায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করতে না পারা ও ছাত্রলীগ একটি গ্রুপের কর্মীরা রুম ভাংচুর করায় মানবেতর জীবনযাপন করছে ওই সাংবাদিক। এমনকি তদন্ত কমিটির বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ রিপোর্ট প্রদান না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সংবাদ প্রকাশের জের ধরে সাংবাদিক বহিস্কারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অবৈধ নজীর স্থাপনে বিভিন্ন পত্রিকায় কলামসহ  ব্যাপক সমালোচিত হয়েছে। ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫৯তম সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অথচ প্রশাসনের এহেন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করলে বহিস্কারাদেশ স্থগিত করে। কিন্তু উক্ত শিক্ষার্থীকে ক্লাসের অনুমতি না দেয়ায় প্রশাসনের আদালত অবমাননা করার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে একক ক্ষমতাবলে  অবৈধভাবে সাংবাদিককে বহিস্কার করলেও  কক্ষে ভাংচুর  ও অগ্নি সংযোগের ঘটনার সাথে জড়িত চিহ্নিতদের বিচার ও ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে প্রফেসর ড. সুশান্ত কুমারকে তদন্ত কমিটির প্রধান করলেও সম্পূর্ণ নিরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে ভিসি প্রফেসর ড. সালেহ উদ্দিন কালক্ষেপণ করে সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান। উল্লেখ্য গত ৩ মার্চ সিলেটের একটি স্থানীয় পত্রিকায় বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ফারুক উদ্দিনের অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর  সাংবাদিকদের কক্ষ অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুর করে ছাত্রদল ক্যাডার বর্তমান ছাত্রলীগ নেতা আসাদ ও নাইম হাসান গ্রুপের কর্মীরা । এ সকল সমস্যায় শাবি প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির প্রতিবাদ, কালোব্যাজ ধারন,মানব বন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও তদন্ত কমিটির নামে প্রহসনের মাধ্যমে আজ অবধি কোন সমাধানের উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন।