স্বামীকে তালাক দিয়ে প্রেমিকাকে বিয়ে, অতপর. . . .

এক ছেলের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পরে ইশরাত জাহান তন্নী(১৯) নামের এক নববধূ। এক পর্যায়ে ওই প্রেমিকের হাত ধরে ঢাকায় গিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে তালাক দিয়ে এক মাস পরে প্রেমিককে বিয়ে করে। থানায় অপহরণের অভিযোগ থাকায় বিয়ের পর শশুর বাড়িতে আসলে পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। নানা নাটকীয়তার পর তন্নীকে তার মায়ের জিম্মায় গভীর রাতে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এ ঘটনায় প্রথম স্বামী, তন্নীর পরিবার ও প্রেমিকের বাড়িতে পুলিশি আতংক বিড়াজ করছে। এমন ঘটনা ঘটেছে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার চরদৌলত খাঁ ইউপির মাথা ভাঙা এলাকায়।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০সালের ১৯নভেম্বর উপজেলার চরদৌলত খাঁ ইউনিয়ন পরিষদের মাথা ভাঙা এলাকার ওবায়েদুল মোল্লার মেয়ে ইশরাত জাহান তন্নীর সাথে আলী নগর ইউপির রাজার চর এলাকার মঈন উদ্দিন বেপারীর ছেলে বাদল বেপারীর বিয়ে হয়। বাদল বেপারী শরীয়তপুর জেলায় চাকরী করায় বাড়িতে না থাকায় বিয়ের পর থেকেই তন্নী তার একই এলাকার লালু মোল্লার ছেলে সাইফুল ইসলাম শিপনের সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং তার হাত ধরে বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকার নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে গিয়ে ১৭মার্চ বাদল বেপারীকে তালাক দেয় এবং ১৮এপ্রিল উক্ত কার্যালয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে প্রেমিক সাইফুল ইসলাম শিপনকে বিয়ে করে। প্রথম স্বামী রেখে পরকীয়ায় জড়িয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় তন্নীর মা কালকিনি থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দেয়। বিয়ের পর তন্নী দ্বিতীয় স্বামী শিপনকে নিয়ে তার বাড়িতে আসে। গত ২১এপ্রিল বিকালে ওই অভিযোগের ভিত্তিতে কালকিনি থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) আজিজুর রহমান শশুর বাড়ি থেকে তন্নীকে আটক করে। পুলিশ তন্নীকে তার মায়ের জিম্মায় গভীর রাতে মুক্তি দেয়।

নুশরাত জাহান তন্নীর প্রথম স্বামী বাদল বেপারী অভিযোগের সুরেই জানান, ‘আমাকে ফাঁসাতে ওর মা চায় দ্বিতীয় স্বামীর সাথে ওর সুন্দর সংসার ভাঙতে। মেয়েকে দিয়ে আমার নামে মামলা দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নেয়ার জন্য পুলিশকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে’।

কালকিনি থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) আজিজুর রহমান বলেন, ‘তন্নীর মা অপহরণের অভিযোগ দেয়ায়া আমরা তাকে উদ্ধার করে ওর মায়ের কাছে হস্তান্তর করেছি’।