আগৈলঝাড়ায় বার্ডফ্লুতে ৪ শতাধিক মুরগী মারা গেছে

দিনের পর দিন এভাবে মুরগী মরার ফলে ফার্মের মালিকরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক ফার্মগুলো। আগৈলঝাড়া পশু সম্পদ বিভাগ রোগ সনাক্ত বা কোন ব্যবস্থা না নিলেও গৌরনদীর পশু চিকিৎসক সিদ্দিকুর রহমান বলছেন বার্ডফ্লু রোগে আক্রান্ত হয়েই ফার্মের মুরগীগুলো মারা যাচ্ছে। গত ২ দিনে আগৈলঝাড়ায় বার্ডফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে একটি লেয়ার ফার্মের চার শতাধিক ডিম পাড়া মুরগী মারা গেছে। জানাগেছে, উপজেলার গৈলা গ্রামের হাবিব  সরদার স্থানীয় ব্যাংক সহ বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে এক বছর পূর্বে হাবিব পোল্টিফার্ম নামে একটি প্রতিষ্ঠান তিল তিল করে গড়ে তোলেন। ওই ফার্মে  পাঁচ শতাধিক লেয়ার মুরগী উত্তোলন করেন।

গত ৩ মাস  থেকে লেয়ার মুরগীগুলোতে ডিম দেয়া শুরু করে। হাবিব ডিম বিক্রি করে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে শুরু করেন। হঠাৎ গত ২২ এপ্রিল থেকে ফার্মের মুরগী বার্ডফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত চার শতাধিক মুরগী মারা যায়। ওই ফার্মের  চিকিৎসক সিদ্দিকুর রহমান জানান, হাবিবের ফার্মের মুরগীগুলো বার্ডফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। এছাড়াও রাজিহার গ্রামের শংকর দাসের ফার্মে তিন শতাধিক লেয়ার মুরগী  ডিম পারার আগে বার্ডফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যেই মারা গেছে বলে যানাগেছে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, আগৈলঝাড়া উপজেলা পশু সম্পদ কর্মকর্তা ডা.বখতিয়ার উদ্দিন কোন প্রতিকার মূলক ব্যবস্থাতো নেয়ইনি এমনকি কোন ফার্মও পরিদর্শণ করেননি।

একের পর এক এভাবে মুরগী মারা যাওয়ায় ফার্মারদের মধ্যে বার্ডফ্লু আতংক ছড়িয়ে পরার পাশাপাশি তারা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে ফার্মগুলো বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। আর এসুযোগে এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা কেজি প্রতি মুরগীর দাম ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। এ ব্যাপারে ডা.বখতিয়ার উদ্দিন এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেস্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি।