মহামারী আকারে ছড়াচ্ছে হামের প্রকোপ-২৩ শিশুর মৃত্যু

আলীকদম উপজেলার দুগর্ম পাহাড়ি এলাকা কুরুকপাতা ও পোয়ামুহুরীতে। গত দু’সপ্তাহে ২৩ জন উপজাতীয় শিশুর মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও সরকারী সূত্রে ১১ জনের খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা ও সেনা সূত্র ঘটনার সত্যতার স্বীকার করে জানিয়েছেন, তারা আজ (বুধবার) সেখানে সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিসহ বিশেষ মেডিকেল টিম পাঠাবেন।

আলীকদমে সেনা জোন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দুর্গম পোয়ামুহুরী এলাকায় গত দু’সপ্তাহে ১১ জন বিভিন্ন বয়সী শিশু মারা যাওয়ার খবর তারা পেয়েছেন। বিষয়টি সেনা বাহিনীর নজরের আসার পরপরই স্থানীয়ভাবে সেনাবাহিনী চিকিৎসাও শুরু করেছেন। তবে রোগটি হাম কিনা নিশ্চিত এখনো হওয়া যায়নি। আজ (বুধবার) সেখানে সেনা বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারযোগে যোগে সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিসহ বিশেষ মেডিকেল টিম গমণ করবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নুর-ই-আলম মুজমদার জানান, তারা বিষয়টি শুনেছেন। তবে এখনো সেখানে কোন মেডিকেল টিম পাঠানো হয়নি। তবে উপজেলা প্রশাসনের কাছে  এ সংক্রান্ত সুনির্দ্ধিষ্ট কোন খবর নেই বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান।

পোয়ামুহুরী এলাকার পাড়া কার্বারী এবং ভিলেজার হেডম্যান মারান কার্বারী গতকাল স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, এ পর্যন্ত কুরুকপাতা-পোয়ামুহুরীর ১১টি পাড়ায় ২৩ জন শিশু মারা গেছে। তৎমধ্যে মারান পাড়ায় ২ জন, সিন্দু পাড়ায় ২ জন, ইয়াংরিং পাড়ায় ৩ জন, কামপুক পাড়ায় ১ জন, পাহাড় ভাঙায় ৩ জন, নিয়াদুই পাড়ায় ২ জন, আন্দালী পাড়ায় ২ জন, চাকপুং পাড়ায় ২ জন, চাইলাতলী পাড়ায় ২ জন, তরনী পাড়ায় ২ জন ও লাংথোয়াই পাড়ায় ২ জন শিশু মারা যায় বলে পাড়া কার্বারী এবং মুরুং কল্যাণ সংসদের সভাপতি মেনদন ও সাধারণ সম্পাদক ইয়োংলক মুরুং দাবী করেন। এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সরকারী মুঠোফোন নম্বর ০১৭৩০৩২৪৮২৪ এ একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, সেনাসূত্রে পাওয়া তথ্যমতে গত ১৫ দিনে ১১টি শিশু মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়া গেলেও স্বাস্থ্য বিভাগ এর কোন তথ্য দিতে পারেনি। স্বাস্থ্য পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন গতকাল দুপুরে জানান, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইয়াছিন শরীফ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম ওই এলাকায় পাঠানো হয়েছে।