উজিরপুরে লাঠিয়াল বাহিনীর হামলায় আহত-২০, গ্রেপ্তার-৩

ধান কর্তন ও বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের তান্ডব চালিয়েছে। উভয় পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করা হয়। পুলিশ লাঠিয়ান বাহিনীর তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।

গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছে কামাল শিকদার(৫০), সোহাগ(১৮), রাজীব(২০), মায়া বেগম(৪৫), মুনসুর(৪৫), ওমর আলী(৪১), জাহানার বেগম(৩২), হালিমা বেগম(৭০), সজিব(১৭), এনছের আলী(৩০)।

জানা গেছে, উপজেলার জল্লা ইউনিয়ন পরিষদের কাজী শাহ গ্রামের মিজানুর রহমান ও কামাল শিকদারের মধ্যে ৫ একর সম্পত্তির দখল নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। কামাল শিকদারের নেতৃত্বে সকাল ৮টার দিকে দেড়শ লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য বিরোধপূর্ন সম্পত্তির ধান কর্তন শুরু করে। খবর পেয়ে মিজানুর রহমান তার লোকজন নিয়ে ধান কর্তনে বাধা প্রদান করে। ওই সময়ে লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্যরা মিজান ও তার লোকজনের উপর হামলা চালিয়ে জখম করে। লাঠিয়াল বাহিনী প্রায় ৩ একর সম্পত্তির ধান কর্তন করার পাশাপাশি মিজানের বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করে। দুপুর ১টার দিকে মিজান সমর্থক ও লাঠিয়াল বাহিনীর মধ্যে ফের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করে।

ওদিকে পুলিশ কেটে নেয়া ধান জব্দ করে ও ঘটনাস্থল থেকে ৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- ধামুড়া গ্রামের ফারুক খান (৪০), বানারীপাড়া উপজেলার শহীদকাঠী গ্রামের জাকির মৃধা (৪২) ও তাজেল মৃধা (৩৮)।

এদিকে মিজান গ্রুপের আহত মুনসুর আলী সিকদার বাদী হয়ে  উজিরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মিজানুর রহমান মিজান বলেন, এ ধান আমাদের। তিনি বলেন জমি নিয়ে বহু বছর ধরে মামলা চলে আসছে। গত ২৯ মার্চ বরিশাল জজকোর্ট থেকে আমরা রায় পেয়েছি। কামাল সিকদারকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

উজিরপুর থানার ওসি সুকুমার রায় শীর্ষ নিউজকে বলেন বিরোধপূর্ন জমির ধান কর্তন করেছে কামাল শিকাদার। জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষে সংর্ঘষ হয়েছে।
(এজে/গৌরনদী ডটকম)