খুনী রেজাউল বাহিনীর ভয়ে আতংকিত মামলার বাদি সুজন

মামলা উত্তোলনের জন্য ওরা যেকোন সময় আমাকে আমার বোনের মতো মেরে ফেলতে পারে। বর্তমানে আমি ওই সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে আতংকের মাঝে দিনাতিপাত করছি। আমার বোনের মতো আর যেন কোন মেয়ের জীবন ওই লম্পট রেজাউলের হাতে অকালেই ঝড়ে না যায়। আমি আমার বোনের খুনীদের ফাঁসি চাই। আমার জীবনের নিরাপত্তাসহ বোন কামরুন নাহার নাদিয়ার হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে আমি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগীতা কামনা করছি।” ভয়ে তটস্থ হয়ে কান্নাজড়িত কন্ঠে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মোবাইল ফোনে কথাগুলো বলেছেন ঢাকার আলোচিত নাদিয়া হত্যা মামলার বাদি ও হতভাগ্য কামরুন নাহার নাদিয়ার ভাই সজিব আহম্মেদ শাহ্রিয়ার সুজন। তিনি আরো বলেন, গত ২৪ এপ্রিল থেকে অদ্যবর্ধি পুলিশ প্রশাসন ও সাংবাদিক ভাইদের কারনেই আমার বোনের খুনী রেজাউল তাৎক্ষনিক গ্রেফতার হয়েছে। শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগীতা পেলে আমার বোনের খুনীদের ফাঁসি এ দেশের মাটিতেই হবে। বলেই তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পরেন।

নিহত নাদিয়ার খালাতো ভাই জহির ভূঁইয়া মোবাইল ফোনে এ প্রতিনিধিকে জানান, গতকাল বুধবার বাদ আছর কামরুন নাহার নাদিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে সুজনের মধ্য বাসাবোর ১৩৯ নং বাড়িতে কুলখানি ও দোয়া-মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়। তিনি আরো জানান, কয়েকটি স্থান থেকে ইতোমধ্যে কথা বেরিয়েছে কয়েকদিন পরেই খুনী সিকদার সফিকুর রহমান রেজাউলের ভাই সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তার (মেজরের) ক্ষমতার দাপটে পুলিশ মামলার ফাইনাল চার্জশীট দিয়ে দিবেন। এসব কথাশুনে তারা এখনই হতাশাগ্রস্থ হয়ে পরেছেন বলেও উল্লেখ করেন।

এদিকে খুনী রেজাউলের ঢাকার বাসা থেকে পুলিশের উদ্ধারকৃত এক তরুনীর পাসর্পোট নিয়ে গৌরনদীতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তরুনীর উদ্ধারকৃত পার্সপোটটি হচ্ছে আগৈলঝাড়ার চেংগুটিয়া গ্রামের সালমা তালুকদারের। সালমা বর্তমানে ফরিদপুর পৌরসভার কর পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত রয়েছে। এরপূর্বে ২০০১ সালে সালমা গৌরনদী পৌরসভার কর পরিদর্শক হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে তৎকালীন গৌরনদীর আলোচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিদেরও মনোরঞ্জনের সাথী ছিলেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, সালমা, মনি ও শিউলী ছিলো লম্পট রেজাউলের মনোরঞ্জনের প্রথম সাড়ির লোক। টরকী বন্দরের পাশ্ববর্তী সুন্দরদী গ্রামের ব্যবসায়ী জলিল ঘরামী গতকাল বুধবার বিকেলে গৌরনদী প্রেসক্লাবে হাজির হয়ে হতাশার শুরে বলেন, রেজাউল সিকদার একটি জমি বিক্রির কথা বলে আমার কাছ থেকে গত তিন বছর পূর্বে ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছে। দীঘদিন জমির দলিল না দিয়ে সে নানা তালবাহানা করে আসছিলো। সর্বশেষ এ মাসের শেষে রেজাউল বাড়িতে এসে জমির দলিল দেয়ার কথা ছিলো। জমি ও টাকা কিছুই না পেয়ে তিনি (ব্যবসায়ী জলিল ঘরামী) এখন পাগল প্রায়।

(খোআহী, গৌরনদী ডটকম)