সরকারি জমিতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মন্দির নির্মানের ধুয়া তুলে রাতের আধারে আবারো গত সোমবার রাতে বিলাসবহুল পাকা বাড়ি নির্মানের কাজ শুরু করেছে আওয়ামীলীগ নেতা মনা দাস।কোটি টাকার সরকারি সম্পত্তি দখলে লিপ্ত রয়েছে তার সাথে আরো অনেক কুচক্রীমহল ।এমনকি ওই সম্পত্তি দখল করার জন্য তার পিতার শশ্রান নির্মান করেছেন সেখানে। উপজেলা ভূমি অফিস ও থানা পুলিশ নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। পুলিশ ও উপজেলা ভূমি অফিস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। ঘটনার বিবরনে যানাযায় কুমার বাড়ী বাজারে ১নং খতিয়ান ভুক্ত ৭৩৯ দাগের ১ একর ৫০ শতাংশ জমি জেলা প্রসাসকের নামে রয়েছে। সেখানে ্একটি বাজার মিলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোন সরকারি সম্পত্তিতে পাকা দালান করা যাবেনা। কিন্তু আষিশ কুমার (মনা দাস ) সরকার দলীয় লোক হওয়াতে কোন নিয়ম নীতির তেয়াক্কা না করে কয়েক মাস পূর্ব থেকে শিকারপুর- উজিরপুর তহসিল অফিসের সামনে ৫ তলা ফাউন্ডেশন বিল্ডিংয়ের নির্মান কাজ শুরু করেন। ইতিমধ্যে লক্ষটাকার ঘুষ বানিজ্রের মাধ্যমে প্রথম তলার কাজ শেষ করেন। এদিকে গত মার্চ মাসের ১০ তারিখে তহসিলদার জসিম উদ্দিন উপজেলা সহকারী ভুমি বরাবর সরকারি জমিতে অবৈধভাবে পাকা দালান নির্মান ব›েন্ধর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আনুরোধ জানান। একই দিন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা উজিরপুর থানাকে অবৈধ নির্মান কাজ বন্দের অনুরোধ জানান । কিন্তু তার কিছুদিন পরে স্থানীয় দালালের মাধ্যমে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিল্ডিংয়ের ছাদ ঢালাই দেয়। পুলিশ ছাদ ঢালাইতে বাধা প্রদান করলেও অদৃশ্য কারনে নিরব ভূমিকা পালন করেন। এনিয়ে স্থানীয় প্রবীন প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান প্রতিবাদ করলে তাকে একটি মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়ে হাজত খাটান মনা দাস। শিক্ষকের মুক্তি ও গ্রেফতারের প্রতিবাদে ১৬ জুলাই শনিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা সদরের স্কুল , কলেজ ,মাদ্রাসার ছাত্র -–ছাত্রীরা তাদের প্রথম সাময়িক নির্ধারিত পরীক্ষা ফেলে রেখে রাস্তায় নেমে পরে । ফুঁসে উঠা সাধারন জনতা উজিরপুর থানা ,ইউ এন ও অফিস ঘেরাও , বিক্ষোভ মিছিল ও ইউ এন ও প্রিয়সিন্ধু তালুকদারের অপসারনের দাবীতে প্রধান সড়ক অবরোধ করেছে।এদিকে বিরোধপূর্ন সেই জমিতে গতকার মঙ্গলবার পুনরায় কাজ শুরু করলে ইউ এন ও’র নির্দেশে কানুনগো মোঃ আতাউর রহমান, সার্ভেয়ার মোঃ মিজানুর রহমান, সংশ্লিষ্ঠ তহসিলদার জসিম উদ্দিন,উজিরপুর থানার এস আই মোঃ আলতাফ হোসেন কাজ বন্ধ করে দেন।