আমি ওসি…আমি ওসি !

দেখো, আমার হাতে রিভালবার-আমি ওসি।  স্পিড বোর্ডে ডাকাত প্রবেশের খবর শুনে এলাকাবাসির সহায়তায় অভিযান চালাতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্পিড বোর্ড থামাতে নদীর পানিতে ঝাঁপিয়ে পরে জনরোষ থেকে নিজেকে বাঁচাতে এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন বরিশালের গৌরনদী থানার চৌকস অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নুরুল ইসলাম-পিপিএম। দীর্ঘক্ষন পর এক যুবক নদীর পানিতে হাবুডাবু করতে থাকা ওসিকে দেখে চিনতে পেরে চিৎকার দিয়ে বলে ওঠে এইতো মোগো থানার ওসি। তোরা এদিকে আয়। আগে স্যারেরে বাঁচা।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৬ এপ্রিল রাত সাড়ে এগারোটার দিকে গৌরনদীর পালরদী নদীর হোসনাবাদ এলাকায়। সেইদিনের ঘটনা বর্ননা করতে গিয়ে এখনো ওসি নুরুল ইসলাম অনেকটাই আতঁকে ওঠেন। বলেন, পরমকরুনাময় আল্লাহতালার অশেষ মেহেরবানিতে জনরোষ থেকে তিনিই আমাকে বাঁচিয়ে এনেছেন। পরবর্তীতে স্পিড বোর্ডটি আটকের পর জানা যায় বোর্ডের লোকজন ডাকাত নয়। তারা হচ্ছে বরিশালের মাদক পাচারকারী দলের সদস্য। পুলিশ স্পিড বোর্ড থেকে ৫টি বস্তা ভর্তি ৪৭৮ বোতল ফেনসিডিলসহ পাচারকারী দলের সদস্য এক তরুনি ও ৪ যুবককে গ্রেফতার করে। ওইদিন গণধোলাই থেকে মাদক পাচারকারীদের উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হন ওসি নুরুল ইসলাম, এস.আই অসীম কুমার সিকদার ও এএসআই মনির হোসেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ আহম্মেদ কোরাইশী সোহাগ বলেন, ওসি নুরুল ইসলামের সাহসিকতায়ই এ মাদক আটক হয়েছে। অন্যকোন ওসি হলে নুরুল ইসলামের মতো ফিল্মি ষ্টাইল স্পিড বোর্ডের ওপর ঝাঁপও দিতোনা আর এতো বড় মাদকের চালানও আটক হতো না।