নদী বাঁচাতে মহাজোট সরকার বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে

নদী বাঁচাতে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যে কারনে বর্তমান সরকার ১৪টি ড্রেজার মেশিন ক্রয় করে ইতোমধ্যে নদী ড্রেজিংয়ের কাজ শুরু করেছে। দীর্ঘ ৩৬ বছরে একটি ড্রেজারও ক্রয় করা হয়নি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫টি ড্রেজার মেশিন ক্রয় করেছিলেন। ১৯৭২ সালে সাবেক মন্ত্রী আঃ রব সেরনিয়াবাত গৌরনদীর পালরদী নদীটি খননের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু তার স্বপ্ন পূরন হয়নি। একইভাবে ১৯৯৬ সালে সাবেক চীফ হুইপ আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এ নদীটি খননের উদ্যোগ নেন। তারই ধারাবাহিকতায় এক’শ কোটি টাকা ব্যয়ে জনগুরুতপূর্ণ পালরদী নদীটি খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নাব্যতা হ্রাসের কারনে দেশের ৫৩টি নৌ-রুটে নৌ-চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ২৪টি রুট চালুর জন্য ১১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকালে আড়িয়াল খাঁর শাখা পালরদী নদীর ড্রেজিং কাজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথাগুলো বলেছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব আব্দুল মান্নান হাওলাদার।

নদী ড্রেজিংয়ের উদ্বোধন উপলক্ষে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সাহেবেরচর নূরানী ও হাফেজীয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিআইডব্লিউটি’র সদস্য (প্রকৌশলী) মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস-এমপি বলেন, এক সময় পালরদী নদী দিয়ে ষ্টীমার চলাচল করতো। নাব্যতা হ্রাসের কারনে গৌরনদীর প্রধান নৌ-বন্দর টরকীসহ অন্যান্য বন্দরগুলো আজ ধ্বংসের পথে। এ নদীটি খনন করা হলে এখানকার নৌ-বন্দরগুলো পূর্ণরায় সচল হবে। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক এস.এম আরিফ-উর রহমান, সাংবাদিক ও কলামিষ্ট অজয় দাস গুপ্ত, গৌরনদী পৌরসভার মেয়র মোঃ হারিছুর রহমান হারিছ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মৃধা প্রমুখ। শেষে পালরদী নদীর হোসনাবাদ লঞ্চঘাট এলাকায় ড্রেজিং কাজের উদ্বোধন করা হয়।

উল্লেখ্য, এক সময়ের আড়িয়াল খাঁর শাখা কালস্রোত পালরদী নদীর দু’পার্শ্বে গড়ে উঠেছে অসংখ্য ব্যবসায়ীক বন্দর। কালের বিবর্তনে আজ নদীর বুক চিরে চর জেগে ওঠায় বছরের ছয় মাস নির্ধারিত লঞ্চ ঘাট টরকী থেকে ৯ কিলোমিটার দূরত্বে কয়ারিয়া লঞ্চ ঘাটে লঞ্চগুলোকে নোঙ্গর করতে হয়। ফলে এসব এলাকার ১০টি বন্দরের সাধারন ব্যবসায়ীসহ জনসাধারনকে পন্য আনা নেয়া করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। অবশেষে আকাঙ্কিত পালরদী নদীর হোসনাবাদ থেকে টরকী পর্যন্ত ড্রেজিং কাজের উদ্বোধন করা হয়।