বিএম কলেজে দুই ছাত্রলীগ নেতার হাতাহাতি

দুই নেতার মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আজ শুক্রবার কলেজের অধ্যক্ষর কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় কলেজ শাখা ছাত্র লীগের যুগ্ন আহবায়ক মঈন তুষার অপর যুগ্ম আহবায়ক রফিক সেরনিয়াবাতকে মারধর করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। এমনকি চেয়ার-টেবিলও ভাংচুর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রফিক সেরনিয়াবাত বাদী হয়ে মইন তুষারকে প্রধান অভিযুক্ত করে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

প্রত্যাক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, গতকাল বিএম কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ল’ পরীক্ষা শেষে অধ্যক্ষ ড. ননী গোপাল দাস তার নিজ কার্যালয়ে গেলে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক রফিক সেরনিয়াবাত, ফাতেমা মমতাজ মলি, মঈন তুষারসহ অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ সেখানে যান। তারা অধ্যক্ষের কাছে বাকসু নির্বাচন বিষয়ে জানতে চায়। এ নিয়ে উপ্তত্ত বাক্য বিনিময়ের  একপর্যায়ে অধ্যক্ষ বাকসু নির্বাচন বিষয়ে এ মুহুর্তে তার অপারগতা প্রকাশ করে কার্যালয় ত্যাগ করেন। অধ্যক্ষ যাওয়ার পর পরই বাকসু নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান নেয়ার অভিযোগ তুলে মঈন তুষার ক্ষিপ্ত হয়ে রফিক সেরনিয়াবাতের ওপর চড়াও হয়ে তাকে মারধর করে। এতে সেখানে ব্যপক উত্তেজনা দেখা দেয়।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা একাডেমিক কাউন্সিলের সাধারন সম্পাদক কাইউম উদ্দিন জানান, বাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই নেতার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এ সময় ছাত্র লীগ নেতা তুষার যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকের সঙ্গে অশোভন আচরন করেছে। মঈন তুষার জানায়, বাকসু নির্বাচন নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কাতর্কি ঘটেছে। কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ননী গোপাল দাস জানান, তার কাছে শিক্ষার্থীরা বাকসু নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চেয়েছিল। কিন্তু তার ব্যক্তিগত কাজ থাকায় তিনি এ বিষয়ে কিছু বলতে না পেরে কলেজ ত্যাগ করেছেন। তবে তার আসার পরে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ সেখানে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি করেছে বলে শুনেছেন। এমনকি সেখানে চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করা হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন। বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনায় রফিক সেরনিয়াবাত বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।