উজিরপুরে হাইব্রীড ‘সাথী’ ধান চাষে চমক সৃষ্টি করেছে কৃষকরা

চমক সৃষ্টি করেছেন উপজেলার তিন শতাধিক কৃষক। এই ধানের ফলন অন্যান্য হাইব্রীড ধানের চেয়ে অনেক বেশী। সাথী ধান প্রতি হেক্টরে ৯ মে.টন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যায়। এ ধান উপজেলার সাতলা, হারতা ও জল্লা ইউনিয়নের ৫০ হেঃ জমিতে আবাদ করা হয়েছে এবং বাম্পার ফলন হয়েছে। আগামী বছরে এই অঞ্চলে আরো  বেশী জমিতে চাষ করবে বলে চাষীরা জানান। বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক সীড এন্টারপ্রাইজের সাথী ধান উজিরপুর উপজেলায় দুই বছর পর্যন্ত তিন শতাধিক চাষী চাষ করে সাফল্যের মুখ দেখেছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে ধান কাটার পরে কৃষক পল্লীতে খুশীর বন্যা বয়ে যাচ্ছে। হারতা জামবাড়ির কৃষক অজয় মজুমদার, উপেন্দ্র নাথ বৈদ্য, রাজেন পাড়ৈ, মনিন্দ্র মজুমদার, সুকুমার হালদার, সুরেন মজুমদার, জিতেন মজুমদারসহ শতাধিক কৃষক জানান, সাথী ধান বাজারে ব্যাপক চাহিদা থাকায় এবং বেশী ফলন হওয়ায় তারা খুশী। উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর বিশ্ব্সা জানান, উজিরপুর উপজেলায় এবারের ইরি বোরো মৌসুমে মোট ১৪ হাজার হেঃ জমিতে বোরো চাষাবাদ করা হয়েছে। তার মধ্যে ৫ হাজার হেঃ জমিতে হাইব্রীড ধানের চাষ করা হয়। সাথী ধান রয়েছে ৫০ হাজার হেঃ জমিতে। সাথী ধানের এখন পর্যন্ত রোগ বালাইয়ের আক্রমণ কম এবং দুর্যোগ সহনশীল ও বাজারে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। গত শনিবার জল্লা ইউনিয়নের জামবাড়ি সরকারি প্রাঃ মাঠে চাষী ও বীজ ডিলারদের নিয়ে ফসল কর্তন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর বিশ্বাস, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, কাজী রকিবুল ইসলাম, ব্র্যাক সীড এন্টারপ্রাইজের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মঞ্জুর রহমান, মার্কেটিং অফিসার আবুল হাসানাত, ডিলার রেজোয়ান প্রমূখ। তারা কৃষকদের আগামীতে ব্যাপক ভাবে সাথী ধান চাষ করার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেন এবং ন্যায্যমূল্যে কৃষকের দোরগোড়ায় বীজ পৌঁছে দেয়ার জন্য আশ্বস্ত করেন।