দু’মুঠো খাবার খেতে ঝূঁকিপূর্ণ কাজে কিশোর মহসিন

 জীবিকা নির্বাহ করতে হচ্ছে কিশোর মহশিনের। মে দিবস কি জিনিস সেটাই জানেনা বরিশালের আগৈলঝাড়া সদরের কেশরী ওয়ার্কসপের শিশু শ্রমিক মহশিন। যে বয়সে বই খাতা কলম নিয়ে স্কুলে যাবার কথা সে বয়সে দিন রাত হাড়ভাংগা কাজ করতে হয়েছে তাকে। জানাগেছে,উপজেলার উত্তর শিহিপাশা গ্রামের দিনমজুর হাচেন ফরিয়া ৩ ছেলে ১ মেয়ে ও স্ত্রী রেখে মৃতুবরন করেন।তখন মহশিনের বয়স কেবল ৪ বছর। ভাইদের মধ্যে মহসিন মেঝ। পিতার মৃত্যুর পরে অভাবের জালা সইতে না পেরে মহসিনের বড় ভাই জসিম এলাকা ছেড়ে ঢাকায় চলে যায়। ঢাকায় গিয়ে কোন খোজ খবর নেয়নি পরিবারের। মহসিনের বাবা মারা যাবার পর থেকে মা রাবেয়া বেগম অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়ে রয়েছে। একদিকে অভাবের সংসার বিছানায় অসুস্থ মা। কি করবে কিশোর মহসিন এই ছোট বয়সে কে কাজ দিবে।পরিবারের সবাইকে কখনও খেয়ে আবার কখন ও না খেয়ে দিনাতিপাত করতে হতো। মহসিন উপজেলা সদরের একটি ওয়ার্কসপে কাজ পায় ৫শত টাকা বেতনে তাও আবার ৫বছরের শর্তে। শর্ত পূরন হবার পরে  মহসিন আজ অন্য একটি ওয়ার্কশপে ২ হাজার ৩ শত টাকা বেতনে কাজ করছে। বর্তমানে মহসিনের বয়স ১৪ বছর। মহসিন বলেন,তার বয়সের ছেলেরা আজ স্কুলে যায় তাদের দেখলে ইচ্ছে জাগে বই খাতা কলম নিয়ে স্কুলে যেতে। আজ যদি বাবা বেঁচে থাকত তা হলে হয় তো পরের দোকানে কাজ না করে স্কুলে যেতে পারতাম। মহশিন আরোও জানান, দুঃখে যাদের জীবন গড়া তাদের আবার দুঃখ কিশের। এ অল্প বেতনে কাজ করে ছোট ভাই, মা, তাদের মুখে খাবার জোটাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। তাই ছোট ভাই মামুনকে ৬ষ্ঠ শেণ্রীতে পড়িয়ে অন্যের দোকানে কাজের জন্য দিয়েছি। মহাসিনের মতো হাজারো শিশুর স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেল।