বাএনিই কতৃক পহেলা বৈশাখ ১৮১৪, নবর্বষ উৎযাপন

উৎযাপন ১৮১৪ সন।১৬ই এ্যপ্রিল মেসেচুসেট্সের কেম্ব্রজীর লংফেলো কেনেডী স্কুল অডিটরিয়মে প্লট, সাব-প্লট।

গৈয়ক,বাদক এবং উপস্থাপিকা অধ্যাপিকা নাসরিন শিবলী তাঁর সুরেলা সুন্দরময় প্রচারশৈলী দিয়ে একটা মোহময় পরিবেশ নির্মাণ করেছিলেন। মূলত ডঃ শিবলীই ছিলেন প্রধান বক্তা । তিনি বাংলাদেশের সাথে আর্ন্তজাতীক বলয়ে সমাজ এবং রাজনৈতীক, অর্থনৈতীক এবং এমন কী গ্লোবাল ওর্য়ামিং সর্ম্পকে বলতে ভূলে যান নি। জনাব কাজী বেলাল প্রাক্তন বেইন প্রেসিডেন্ট নজরুল গবেষনার কথা বলেন, তারা কনেকটিকাট বিশ্ববিদ্যালয়ে নজরুল গবেষনা এবং শ্রেণীকক্ষ শিক্ষার আলোচনায় আনেন। কনেকটিকাট স্টেটও বেইনের একটি অংশ। নাট্যকলা, শিল্পকলার সাথে যদি সংগীত যোগ হয়ে যায়। হয় যদি আজন্ম লালিত সংস্কৃতির প্রকাশ তাও আবার
বিদেশীনিদের গানে আর নৃত্যে। রবিন্দ্রনাথের ওগো বিদেশীনিরা! বিদ্যাসাগরের অস্পরার মগ্নে, ধ্যানে নৃত্য করেছেন, গান গেয়ে নববর্ষকে বরন করেছেনে। বরন করে নিলেন ব্রিজ ওয়াটার স্টেইট ইউনিভারসিটির ছাত্রীরা। রসলিন গেয়েছেন,“ ফুলে ফুলে ঢোলে ঢোলে ”। না দেখলে বোধগম্য হবে না, কতটুকু আমেজ থাকতে পারে? বাংলা নববর্ষের জনক সম্রাট আকবর যদি বেঁচে থাকতেন,হয়ত তিনি খুশিতে র্মূচ্ছা যেতেন।পহেলা বৈশাখের তিনি যে উৎসব শুরু করেছিলেন মূলতঃ সামাজিক এবং ধর্মিয় শ্রেণী বিবেধ হতে মুক্তির জন্যে

তিনি মহাভারতের মানুষকে শান্তির্পূণ সহাবস্থানের একটা প্রচেষ্টা করেছিলেন বৈকি। সমগ্র অনুষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন কামরুল আলম জুয়েল।
আগমনি বক্তৃতা করেন সভাপতি সাহিন খান। তনুশ্রী বড়ুয়া এবং তাঁর ছাত্রীদের নৃত্য র্দশকদের মুগ্ধ করে দেয়। তারপর আসে বস্টনের কোকিল কন্ঠী  মুক্তা। মঞ্চে আসে সাবা হাকিমের  ইমাজিন স্কুল অব ডেন্সের ছাত্রীরা। তারপর শুরু হয় গানের পালা। মিশ্র, অবিমিশ্র সব সংগীত দিয়ে জুয়েল, মনোবেশ, মুক্তা, মুর্তজা দর্শকদের নববর্ষের আনন্দ দিয়ে পরির্পূণ করেন, ১৮১৪ সালকে। বেইন, বাংলাদেশ এসোশিয়েশন অব নিউ ইংল্যান্ড; এটার জন্ম এই আমেরিকায় ১৯৭১ সালের ৭ই র্মাচ মাসে।কালের সাক্ষি হয়ে ডঃ বিনয় পাল ৭১ সালের প্রথম সাঃসম্পাদক, সালমা আপা ৭১ সালের প্রেসিডেন্টের স্ত্রী এখনো দুঃখ নিয়ে আবার স্বাধীনতার সূখ নিয়ে বস্টনে আছেন।

বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাস আর বেইন! দুঃখজনক হলেও সত্যি সমস্ত অনুভূতি দেশের প্রতি ভালবাসা? সেদিনের সেকালের প্রেক্ষাপটে যদি লেখা হয় একটা ইতিহাস হবে। অন্ততঃ পক্ষে মুক্তি যুদ্ধের ইতিহাসের একটা বৃহৎ অধ্যায়তো হতে পারতো নিশ্চয়। বস্টনের মত এমন একটা শিক্ষিত, আপরাইট বাংলাদেশী সমাজে এত বিলম্ব কেন হলো? আমার খুব চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছ। বিদেশ এবং প্রবাসী স্বজাতী সব সময় নিজ দেশকে মন এবং প্রাণ দিয়ে মুক্ত করবার জন্যে সহযোগীতা করে এসছে ।
লেখক হিসেবে আমার একটা দায়িত্ব আছে। এটা যদি পালন না করি। শুধু দ্বায়িত্বহীনতার দায়ভার নিতে হলো, তাই নয়। বাংলাদেশী হিসেবে আমার জন্ম পাপ হবে।বেইন যে আমায় একটা সুযোগ করে দিলো, মানুষের কাছে আসবার, বুঝবার। আসলেও তাই। বাংলাদেশের ডায়েসফোরা নিয়ে র্দীঘদিন চিন্তা করে আসছিলাম। এবার থাহলে শুরু করা যাক, শেষ একদিন কেহ নিশ্চয়ই করবেন।