মিডিয়ায় মুখ খুললেন বরিশালের ছাত্রলীগ

আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর পুলিশ লাইনস রোডস্থ এক চাইনিজ রেস্তোরায় কলেজ শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে বলেছেন বিএম কলেজ ক্যাম্পাসে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টির হোতা রফিক সেরনিয়াবাদের ছাত্রত্ব নেই। এর আগে জালিয়াতির মাধ্যমে মাস্টার্সে ভর্তি হলেও শিক্ষার্থীদের দাবীর মুখে ভর্তি বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে প্রশাসন। অথচ তিনি এখনও অগনতান্ত্রিক পন্থায় বাকসুর ভিপি হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।  

সন্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিসিসি মেয়র শওকত হোসেন হিরনপন্থী বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক মঈন তুষার। তিনি বলেছেন বিএম কলেজের বাকসু নির্বাচনের দাবীতে দীর্ঘ দিন ধরে সকল ছাত্রসংগঠনসহ সাধারন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন কর্মসূচী পালন করে আসছে। কিন্তু সাধারন শিক্ষার্থীদের প্রানের দাবী বাকসু’র গনতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচনের বাধ সাধে রফিক সেরনিয়াবাদ। তিনি শিক্ষার্থীদের নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। মুলত গনতান্ত্রিক পন্থায় নির্বাচন হলে রফিকের ছাত্রত্ব না থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। এ কারনে অছাত্র রফিক  চাচ্ছেন সেলেকশনের মাধ্যমে ছাত্রকল্যান পরিষদ গঠন করে বাকসুর নেতৃত্বে আসীন হতে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয় বাকসুর নির্বাচনের দাবীতে অধ্যক্ষের নিকট বার বার দাবী পেশ করা হলেও তিনি ছাত্রনেতাদের বলে আসছেন হাইকমান্ডের নির্দেশ পেলেই তিনি বাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করবেন। অর্থাৎ অধ্যক্ষ এখানকার আওয়ামী রাজনীতির অভিভাবক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র নাম ভাঙ্গিয়ে নির্বাচনকে ঝুলিয়ে রেখেছেন। পাশাপাশি রফিক সেরনিয়াবাদও হাসানাত আবদুল্লাহর নাম ভাঙ্গিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছেন। এই বিষয়গুলো গত শনিবার ক্যাম্পাসের সমাবেশেও তিনি জোরালো কন্ঠে বলেছেন বলে মন্তব্য করেন তুষার। কিন্তু তার বক্তব্য পুরোপুরি অনুধাবন না করে ভুল ব্যাখ্যা করে রাজনীতির মাঠে ভাইরাস ছড়িয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেছে রফিক সেরনিয়াবাদ।

সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক নাহিদ সেরনিয়াবাদ, মহানগর ছাত্রনেতা জসিম উদ্দীন, হাতেম আলী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বাপ্পী,সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন আহমেদ বাবলু জোমাদ্দার, সরকারী বরিশাল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক চঞ্চল দাস পাপ্পা, বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ছাত্র কল্যান পরিষদের সভাপতি সৈকত,ছাত্রনেতা শেখর দাস।

প্রসঙ্গত বাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ দু’গ্র“পে বিভক্ত হয়ে পড়ে। রফিক সেরনিয়াবাদ সাবেক চীফ হুইপ আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ’র আতœীয় পরিচয়ে ক্যাম্পাসে দাপট প্রর্দশন করে। অপরদিকে বিসিসি মেয়র শওকত হোসেন হিরন পন্থী হিসাবে পরিচিত ছাত্রনেতা হলেন মঈন তুষার ও নাহিদ সেরনিয়াবাদ। এরমধ্যে কলেজের সাধারন শিক্ষার্থী,বামপন্থী ছাত্রসংগঠনসহ ছাত্রলীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মী তুষার- নাহিদের রাজনীতির সঙ্গে একাতœতা প্রকাশ করে বাকসুর নির্বাচনের দাবীতে বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছে। বিপরীতদিকে রফিক বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে রাজনীতি করছে। গত শুক্রবার সাধারন শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে অছাত্র রফিক সেরনিয়াবাদকে ক্যাম্পাসে মারধর করে। শনিবার দুপুরে ক্যাম্পাসে দু’গ্র“পের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।