এক লম্পট ব্যবসায়ীর দোকান বন্ধ করে দিয়েছে জনতা

বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় জনতা। গত একমাস ৬ দিন পর্যন্ত দোকানটি বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন লম্পট যুবক মহসিন ফকির গাঁ ঢাকা দিয়ে থাকলেও গত দু’দিন থেকে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে এলাকায় ফিরেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে লম্পট মহসিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আগরপুর বাজারের ভাই ভাই ষ্টোরের স্বত্তাধীকারী আগরপুর গ্রামের মান্নান ফকিরের পুত্র মহসিন ফকির (৩০)। সম্প্রতি সময়ে মহসিন একই বাড়ির মৃত কালাম ফকিরের বিধবা স্ত্রী ও চার সন্তানের জননী লাকী বেগমকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এরই মধ্যে লাকী বেগম মহসিনকে বিয়ের জন্য চাপপ্রয়োগ করলে লম্পট মহসিন লাকী বেগমকে বিয়ে করতে নানা তালবাহানা শুরু করে। উপায়অন্তুর না পেয়ে অসহায় লাকী বেগম তদন্ত সাপেক্ষে সঠিক বিচারের দাবিতে বাজার কমিটির কাছে লিখিত আবেদন করেন। আগরপুর বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক ও বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ ইউসুব হোসেন খান বিধবা লাকী বেগমের আবেদন প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লাকী বেগমের আবেদনের ভিত্তিতে নোটিশের মাধ্যমে একাধিকবার অভিযুক্ত মহসিন ফকির ও তার পরিবারকে ডাকা হয়েছে। তাতে তারা কোন কর্নপাত না করায় স্থানীয়রা গত একমাস ৬ দিন পূর্বে মহসিনের ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়। এ ঘটনার পর পরই মহসিন এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করে। স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর গত দু’দিন পূর্বে মহসিন আবার এলাকায় ফিরেছে।

তারা আরো জানান, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে লম্পট মহসিন এলাকায় ফিরেছে। বর্তমানে ওই প্রভাবশালী মহলটি বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত ও ধামাচাপা দেয়ার জন্য অসহায় বিধবা লাকী বেগমকে নানাধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন অব্যাহত রেখেছে। এলাকাবাসি প্রসাশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে তদন্ত সাপেক্ষে লম্পট মহসিনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।