উজিরপুরে ৭১’র রাজাকারের বিচারের দাবী

সরদারের বিচারের দাবীতে গতকাল মঙ্গলবার সকালে  মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় লোকজন  বিক্ষোভ মিছিল করেছে এবং ঐ রাজাকারের কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে। উজিরপুরের রাজাকাররা এখনো ৭১ এর মত আধিপত্য বিস্তার করে বেড়াচ্ছে বলে মুক্তিযোদ্ধা অভিযোগ করেছেন। উপজেলা জয়শ্রী গ্রামের মৃত গনি সর্দারের পুত্র  ছত্তার সরদারের (৬৫) বিরুদ্ধে নারী ধর্ষন, অগ্নি সংযোগ,হত্যা বাড়ি ঘর লুটপাট পাকিস্তানিদের দোসর হিসাবে কাজ করার অপরাধে তার বিচার চেয়ে এ বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। উজিরপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল সুত্রে জানায় সত্তার সরদার শিকারপুর-উজিরপুর ইউনিয়নের ১নম্বর  তালিকাভূক্ত সস্বস্ত্র রাজাকার। উজিরপুর উপজেলায় এখনো প্রায় অর্ধশতাধিক রাজাকার জীবিত রয়েছে। সরকারী কোন নির্দেশ না থাকার কারনে প্রশাসন এখনো তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেনা। উজিরপুর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা  ডেপুটি কমান্ডার মোঃ হারুন অর রশীদ জানান সত্তার সরদার একজন তালিকাভূক্ত রাজাকার । তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। সহকারী কমান্ডার (সাংগঠনিক ) আব্দুল আউয়াল জানান সত্তার সরদার ৭১ সালে অত্র অঞ্চলে পাকিস্তানিদের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী সকল কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করেছে। স্বাধীনতার পড়েও তার পুত্র জাহাঙ্গীর সরদারও  এলাকার লোকজনের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।সরকার যদি তালিকাভুক্ত রাজাকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা মুক্তিযোদ্ধারা একত্রিত হয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।  সত্তার বাহিনীর  অত্যাচারে গত রবিবার জয়শ্রী গ্রামের বারেক বালীর বসত ঘর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভেঙ্গে ফেলে । এসময় তারা প্রতিহত করলে তার স্ত্রী জেসমিন বেগম , বৃদ্ধ মাতা চানবরু (৭৫) কে তার ভাই সাহেব আলীকে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে পিটিয়েছে। তারা বর্তমানে উজিরপুর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অভিযোগের ব্যাপারে সত্তার সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে জানান ৭১ সালে গফুর মৃধার পরামর্শে ৭দিন পাকিস্থানিদের সাথে কাজ করছেন। তার পরে তিনি মুক্তিযোদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন বলে দাবী করেন।