ছাত্র নেতা রফিক সেরনিয়াবাদের গোমর ফাস

হল বিএম কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ন আহবায়ক রফিক সেরনিয়াবাদের। ২ মার্চ সংবাদিক সম্নেলনে এ কথা স্পষ্টভাবে প্রমান করলেন মঈন তুষার। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিনের স্বাক্ষর জাল করে রফিক সেরনিয়াবাদ বি এম কলেজে তার ছাত্রত্ব ধরে রাখতে যে মিশন চালিয়েছিলেন তা এখন কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট স্পষ্ট। স্বয়ং ডিন নিজেই স্বীকার করছেন বিএম কলেজে রফিক সেরনিয়াবাদের ছাত্রত্ব নেই। তার ছাত্রত্ব ধরে রাখার ক্ষেত্রে তিনি মন্ত্রি পদমর্যদার নিকটকতমদের দিয়েও তদবির চালিয়েছেন। কিন্তু ডিনের সাফ কথা তিনি রফিক সেরনিয়াবাদকে  বিএম কলেজে অবৈধ পন্থায় ছাত্রত্ব দিতে নারাজ।

তথ্যমতে, ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষের মাষ্টার্স ১ম পর্ব (নিয়মিত) কোর্সে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির আবেদন করেন। কিন্তু তার এই আবেদন প্রক্রিয়া সম্পূর্ন অবৈধ হওয়ায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পত্র নং৭৩৫৩ ও স্নরক নং৪৯/২ এর মাধ্যমে বিএম কলেজ অধ্যক্ষকে রফিক সেরনিয়াবাদের ভর্তি বাতিল প্রসঙ্গে চিঠি দেয়। কিন্তু অধ্যক্ষ ননী গোপাল দাস রহস্যজনক করনে ছাত্র নেতা রফিক সেরনিয়াবাদের ছাত্রত্ব বাতিলের ঘটনা ধামা চাপা দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে ডিন আবু রায়হান অধ্যক্ষের এহেন কর্মকান্ড জানতে পেরে পুনরায় ২য় বারের মত গত বছরের জুলাই মাসের ১১ তারিখ অধ্যক্ষ বরাবরা নোটিশ পাঠায়। তদুপরি এই নোটিশ অধ্যক্ষ ননী গোপাল দাস রফিকের এই ঘটনা গোপন রাখে।

এ ঘটনায় অধ্যক্ষ ননী গোপাল দাসকে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ও দিকে অভিযুক্ত রফিক সেরনিয়াবাদকে এ ঘটনা সম্পর্কে জানার জন্য সেল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।