অবশেষে লিমনকে ঝালকাঠি কারাগারে পাঠানো হলো

সাড়ে আটটায় ঝালকাঠি কারাগারের মাধ্যমে সুচিকিৎসার আদেশ দিয়েছেন। রাতে তাকে আদালত চত্ত্বরে  হাজির করা হলে আদালতের বিচারক নুসরাত জাহান এ আদেশ দেন। Limonআদালত লিমনের পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠায়। মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১টার দিকে এক পুলিশ কর্মকর্তা ও তিন কনষ্টেবলসহ লিমনকে নিয়ে সড়ক পথে  (ঢাকা মেট্টো-গ ১৪৫২৫০) মাইক্রোবাসে ঝালকাঠির আদালতে আনা হয়। সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে পুলিশ গার্ডে তাকে নিয়ে আদালত প্রাংগনে নিয়ে আসে।

লিমনকে বহনকারী গাড়িটি আদালত প্রাংগনে এসে পৌঁছলে লিমনের মা হেনোয়ারা বেগমের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। এসময় তিনি র‌্যাব পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমার মরা পোলাডারে লইয়া ওনারা খেলা করছে। দুনিয়ায় কি বিচার নাই! হে আল্লাহ তুমি কেন আমার মরা পোলাডারে নিয়া এত কিছু করছো। এসময় লিমনের পিতা অভিযোগ করে বলেন, আমি পুলিশের গাড়িতে ঢাকা থেকে রওয়ানা হই। পথিমধ্যে মাওয়া ফেরিঘাটের ওপার এসে পুলিশ আমাকে নামিয়ে দেয়। তিনি সেখান থেকে অন্য গাড়িতে বিকাল ৫টার দিকে ঝালকাঠি এসে পৌঁছে।

এদিকে লিমনকে ঝালকাঠি আদালতে হাজির করার খবরে বিকাল থেকেই লিমনের পরিবারের সদস্য ও সাংবাদিকরা আদালত চত্ত্বরে জড়ো হয়। ব্যাপক সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয় সেখানে।   

লিমনের চিকিৎসার জন্য এ্যাড. মানিক আচার্য্য ও আক্কাস সিকদার আদালতে জামিনের আবেদন করেন। কিশোর লিমনকে আদালতের বিচারক তার জামিন আবদন না মঞ্জুর করে কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চিকিৎসার আদেশ দেন।

উল্লেখ্য গত ২৩ মার্চ রাজাপুরের ক্রাইমজোন খ্যাত সাতুরিয়ায় র‌্যাবের গুলিতে লিমন আহত হয়।  ২৬ মার্চ জাতীয় অর্থোপেডিকস হাসপাতাল ও পূনর্বাসন প্রতিষ্ঠান পঙ্গু হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। পরদিন অপারেশনের মাধ্যমে তার বাম পা হাটুসহ কেটে ফেলা হয়। এঘটনায় মিডিয়া, মানবাধিকার সংগঠনসহ সুষ্ঠু তদন্ত দাবী জানায়।

এদিকে র‌্যাব লিমনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি ও সরকারী কাজে বাঁধাদানের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে। ইতিমধ্যে একটি মামলায় পুলিশ লিমনের বিরুদ্ধে চার্জশীটও প্রদান করেছে। দীর্ঘ ১ মাস ১০ দিন পর লিমনকে পুলিশ হঠাৎ ঝালকাঠি আদালতে আনে।

মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে লিমন আদালতে গাড়ির মধ্যে শোয়া অবস্থায় বলেন, আমি এখনও সুস্থ্য হইনি। পায়ের ব্যাথা কমেনি। কেটে ফেলা স্থান থেকে এখনও রক্ত ঝড়ে। আমাকে নিয়ে এত বেশী করার কি প্রয়োজন। আমি তো নির্দোষ। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করে দেখেছে। আমাকে মুক্তি দিন।