আস্তাকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নিয়ে চলছে নানা ষড়যন্ত্র

নিয়ে চলছে নানামুখী ষড়যন্ত্র। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অছিউর রহমান এবং দু’জন সহকারি শিক্ষিকা যথাক্রমে রাশিদা পারভীন ও আসমা লাকী পরস্পরের যোগসাজসে স্কুলটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন। ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার কাছ থেকে অবৈধ সুযোগ সুবিধা ভোগ করতে না পেরে তারা সম্মিলিতভাবে একের পর এক ষড়যন্ত্র করে স্কুলের পড়াশোনার মানে বিঘœ ঘটাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তৌহিদা খানম বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে দায়ের করা এক আবেদনে জানান-  ২০১০ সালের ৭ আগস্ট তিনি আস্তাকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তারপর থেকেই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অছিউর রহমান বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশৃংঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি ও  তার সাথে অসাদাচারণ করে চলছেন। এসব অসদাচরনের নেপথ্যে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য।

অনুসন্ধান করে জানা গেছে- আস্তাকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক তৌহিদা খানম যোগদানের পূর্বে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন সহকারি শিক্ষিকা আসমা লাকী। এই শিক্ষিকা হচ্ছেন বরিশাল সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হকের ভাইর মেয়ে। এই সুবাধে দীর্ঘদিন যাবত এই স্কুলে কোন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিলে স্কুলটিকে লুটেপুটে খাচ্ছিলেন। এমন সময় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপে সেখানে প্রধান শিক্ষক হিসেবে তৌহিদা খানম কে নিয়োগ দেয়া হলে তাদের লুটপাট সিন্ডিকেটে ছেদ পড়ে। বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা ওই স্কুলে যোগদানের পর যাবতীয় অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। এরপরই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অছিউর রহমান এবং দু’জন সহকারি শিক্ষিকা যথাক্রমে রাশিদা পারভীন ও আসমা লাকী। তাদের সেসব ষড়যন্ত্রের বিস্তারিত বর্ননা ফুটে উঠেছে প্রধান শিক্ষিকা তৌহিদা খানমের আবেদনে।

এদিকে প্রধান শিক্ষিকা তৌহিদা খানমের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন কিছু অভিযোগ এনে তার অপসারন দাবি করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি  অছিউর রহমান এবং দু’জন সহকারি শিক্ষিকা যথাক্রমে রাশিদা পারভীন ও আসমা লাকীর প্রত্যক্ষ মদদে এলাকাবাসীর স্বাক্ষর নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

অপরদিকে ওই এলাকার জনগন আস্তাকাঠী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলমান সংকট বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে অপর এক লিখিত অভিযোগ প্রস্তুত করে।  তাতে  ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি  অছিউর রহমান এবং দু’জন সহকারি শিক্ষিকা যথাক্রমে রাশিদা পারভীন ও আসমা লাকীর অপসারন দাবী করে তাদের অপকর্মের নানা চিত্র তুলে ধরা হয়।

এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তার  ক্যাডারদের নিয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা ছত্র অভিভাবক নুরুজ্জামানের উপর হামলা চালিয়েছে। সব মিলিয়ে দু’টি ধারায় বিভক্ত হয়ে চরম সংকটে পড়েছে আস্তাকাঠি স্কুলটি। এলাকাবাসী ওই স্কুলের চলমান এসব সংকট দূর করে সুষ্ঠু সমাধান দাবি করেছেন।